1. khan261278@gmail.com : Oitijjho Bangla : Oitijjho Bangla
  2. oitijjhobangla24@gmail.com : Editor Panel : Editor Panel
  3. jmitsolution24@gmail.com : support :
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বোয়ালমারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত এক মৎস্যজীবীর বৈঠার আঘাতে মধুমতি নদীতে নিখোঁজ অপর মৎস্যজীবী বোয়ালমারীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবাসহ আটক ৩ বোয়ালমারীতে সাবেক মেম্বারের বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কার-টাকা লুট বোয়ালমারীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে মারামারি, আহত ৬ বোয়ালমারীতে পাটজাত পণ্য তৈরি ও হাতপাখা বাজারজাত করণ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন বোয়ালমারীতে শেখ রাসেল শিশু পার্ক উদ্বোধন বোয়ালমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উদযাপন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বোয়ালমারী পুলিশের মতবিনিময় সভা ভাতা নয় পিতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান এক গণমাধ্যমকর্মী

বোয়ালমারীতে নদীর উপর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ব্রিজ নির্মাণ! প্রযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৬৬৮ জন পঠিত

বোয়ালমারী  প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গ্রামবাসীর উদ্যোগে চন্দনা-বারাশিয়া নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মানের কাজ চলছে। নদীর উপর বেসরকারি উদ্যোগে ব্রিজ নির্মাণ করা যায় কি-না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বিলসড়াইল বটতলা নামক স্থানে আশপাশের কয়েক গ্রামের সাধারণ মানুষের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে এ ব্রিজ। ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ১শ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ৩ ফুট।

চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তবে ব্রিজটির নির্মাণে কোন প্রকার ডিজাইন বা সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কোন দপ্তরের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। প্রযুক্তিগত বিষয় দেখভালের জন্য নেই কোন প্রকৌশলী বা প্রকৌশল তত্ত্বাবধায়ক। শুধুমাত্র নির্মাণ-শ্রমিকদের অভিজ্ঞাতই পুঁজি। এজন্য ব্রিজটি ব্যবহারে ঝুঁকির বিষয়টি সর্বমহলে আলোচিত হচ্ছে। এদিকে সরকারি টাকা না পাওয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে যাননি জানালেন সেতু নির্মাণের প্রধান উদ্যোক্তা বিলসড়াইল গ্রামের শেখ হারুন-অর রশিদ।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যে কোনো নদীর উপর কোনোভাবে প্রযুক্তিগত বিষয় না দেখে সেতু নির্মাণ সঠিক নয়। এটা ভালোর চেয়ে মন্দ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মানুষের জীবনের ঝুঁকি থাকবে। প্রকৌশলীদের অনুমোদন ছাড়া সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হবে কি-না জানতে চাইলে উদ্যোক্তা হারুন-অর রশিদ বলেন, আমাদের সেতু দিয়ে তো ভারি কোন গাড়ি চলাচল করবে না।

তাছাড়া যে সব মিস্ত্রি সেতুর কাজ করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে বেজমেন্ট ও পিলারে ১৬ মিলি মাপের প্রয়োজনীয় সংখ্যক রড দেওয়া হয়েছে। ব্রীজ নির্মানের মূল উদ্যোক্তা বিলসড়াইল গ্রামের শেখ হারুন-অর রশিদ বলেন, প্রায় দুই মাস আগে এ ব্যাপারে এলাকাবাসীকে নিয়ে একটি সভা করি। ওই সভায় নিজেদের টাকায় ব্রীজটি নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সভায় গ্রামের বিত্তশালীসহ সর্বস্তরের লোকদের কাছে ব্রীজ নির্মাণের জন্য আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়। ইতোমধ্যে শতাধিক গ্রামবাসীর মাধ্যমে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা সংগৃহীত হয়।

এ অবস্থায় গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু হয়। একাজে নিয়োজিত স্থানীয় রাজমিস্ত্রিদের প্রতি বর্গফুট বাবদ দিতে হবে ৩৫০ টাকা। প্রতিদিন ১৪ জন রাজমিস্ত্রি ব্রিজ নির্মাণের কাজ করছে। এলাকাবাসী জানান, গত ১৫ বছর ধরে তারা চন্দনা-বারাশিয়া নদীর ওই জায়গায় একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে ধরনা দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমনকি স্থানীয় সাংসদের কাছে তারা এ সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়া কয়েকবার আবেদন করেছেন উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে। কিন্তু তাতেও কোন ফল জোটেনি। এ কাজে সরকারি-বেসরকারি কোন সহায়তা না পেয়ে গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় টাকা তুলে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। ব্রিজটি নির্মিত হলে ৮টি গ্রামের মানুষের যাতায়াত সহজ হবে।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে ব্রীজ নির্মানের জন্য কোন বাজেট নেই। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে তাই ব্রীজ নির্মাণ করা সম্ভব না। উল্লেখ্য, ৫/৬ বছর আগে বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে অবস্থিত আরএমএস ইটভাটার পশ্চিম পাশে ওই একই নদীর উপর অপর একটি ব্রিজ নির্মিত হয়েছিল ব্যক্তিগত উদ্যোগে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2025
Development by : JM IT SOLUTION
error: Content is protected !!