কাশবন ফুলে ফুলে সাদা হয়
মেঘগুলো পাল তুলে ভেসে রয়
রোদ বৃষ্টির খেলা।
শিশির নাওয়া দূর্বাঘাসে
ঢেউয়ের দোলায় শাপলা হাসে
রংধনু রং মেলা।
জোনাক জ্বলে জোসনা হাসে
তারা হাসে মিটিমিটি
কাশবন মেঘের বহর
শরৎকালের রঙিন চিঠি।
পঙক্তিগুলি নাজমুল হক নজীরের অপ্রকাশিত কবিতার অংশ। চিরায়ত বাংলার ঋতু বৈচিত্র্যের শরৎ প্রেমের অনন্য সুন্দর ছবি যেমন এঁকেছেন তাঁর কবিতায় তেমনি শরৎের শুভক্ষণেই শ্লোগানের কবি নাজমুল হক নজীর এর আবির্ভাব। একজন কবির স্বার্থকতা তো এখানে, পাঠককে কল্পনা আর সুন্দরের স্বপ্নে স্বপ্নচারী করে তোলা। সেদিক থেকে নাজমুল হক নজীর সফল ও স্বার্থক। আজ ২৫শে সেপ্টেম্বর কবির ৭১তম আগমনী দিন।
ত্রিশোত্তর আধুনিক বাংলা কবিতায় নাজমুল হক নজীর একজন স্বতন্ত্র কাব্যসাহসী আধুনিক কবি। ১৯৫৫ সালের ২৫ শে সেপ্টেম্বর তিনি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিয়ালদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা বজলার রহমান মোল্লা, মাতা আছিরণ নেছা।
একজন কবিকে সময়ের প্রয়োজনে কবিতা আর কলমকে করতে হয় প্রতিবাদের হাতিয়ার, কথা বলতে হয় প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হয়ে,একজন সময় সচেতন কবি হিসেবে নাজমুল হক নজীরের বেলায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে একজন কিশোরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কবির জীবনী থেকে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে তিনি কখনো কোন রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা নেননি ।
পেশাগত পরিচয়ে নাজমুল হক নজীর সংবাদপত্রের সাথে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দৈনিকের সাথে যুক্ত ছিলেন ।
দীর্ঘদিন পাক্ষিক “নজীর বাংলা”র প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।
দেশে ও দেশের বাইরে লিটল ম্যাগাজিনে কবিতা লিখেছেন নিয়মিত। প্রথম কবিতা “হাওয়া থেকে পাওয়া ”
প্রথম কাব্যগ্রন্থ “স্বৈরিণী স্বদেশ “।
Leave a Reply