বোয়ালমারী প্রতিনিধি:রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনিকে(১১) অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে সে আর বেঁচে নেই। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ও হাসপাতালে খোঁজ-খবরের পর ঢাকা সিএম এইচ হাসপাতালে তার পুড়া মরদেহের সন্ধান মিলেছে।
মঙ্গলবার(২২ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহত রাইসা মনির চাচা ইমদাদুল শেখ। এর আগে বিকেলে ঢাকা সিএমএইস হাসপাতালে নিহত রাইসার মরদের শনাক্ত করেন তার বাবা শাহাবুল শেখ।
রাইসা মনি ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, কোড- ২০১০, সেকশন-স্কাই। নিখোঁজ রাইসা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামের শাহাবুল শেখের মেয়ে। শাহাবুল শেখ ঢাকার মিরপুর এলাকার একজন ব্যবসায়ী।
রাইসার চাচাতো ভাই তারিকুল শেখ বলেন, রাইসা মনির খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে সে আর পৃথিবীতে জীবিত নেই। তার বাবা নিজে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেছেন। রাইসা মনি ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার বড় বোন ও ছোট একটি ভাই রয়েছে। রাইসার মরদেহ খুঁজে পেয়ে তার পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে রাইসা মনির আপন চাচা ইমদাদুল শেখ বলেন, রাইসা মনি আর বেঁচে নেই। তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। পেটের ওপর থেকে মাথা পর্যন্ত বেশি পুড়েছে। তবে তার মুখমণ্ডল দেখে তার বাবা মেয়ে রাইসা মনিকে শনাক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, রাইসা মনির মরদেহ সিএমএইচ থেকে ডিএনএ নমুনা টেষ্ট দেওয়ার জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের নমুনা রেখে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হলে আজই গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামের নিয়ে যাওয়া হবে। এখানেই তার মরদেহ দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখনও অনেকেই নিখোঁজ। এই মর্মান্তিক ঘটনায় ইতোমধ্যেই অনেক নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও অনেকে।
Leave a Reply