সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু

                                                                                                       -সম্পাদক- জাগো মানিকগঞ্জ

টিভি,অনলাইন টকশোতে করোনা বিশেষজ্ঞের বান ডেকেছে। ওরে বিশেষজ্ঞরে! যার যা খুশি বলেও যাচ্ছেন! মাঝে মাঝে ভাবি, আমি দোষ করলাম কি!

আমিও মতামত দেই….

শুনেন আপনাদের রাজাবাজার স্টাইলের লকডাউন আর লাল হলুদের বৃত্ত বৃত্ত নকশা আঁকার খেলা বাদ দেন। বাঙ্কারেই থাকেন আর দূর্গেই থাকেন কোন গ্যারান্টি নাই,বাঁচতে চাইলে ঢাকা সিটি উত্তরে,দক্ষিণে দুইভাগ আছে না,সোজা কাঁটাতারের বেড়া দিয়া একবার উত্তরে আরেকবার দক্ষিণে লকডাউন দেন। দুইটা মিলা একসাথে পারলে আরও ভাল। যেনতেন না কার্ফিউসহ তিনসপ্তাহের লকডাউন। বাইরে দেখা গেলেই পা বরাবর গুলি। আর হাতে থাকবে ৬ ফুট লম্বা লাঠির মত মোটা বেত, নাগালে পরলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাইখাই সাপপিটানোর মত পিটানি। বেশী না দুইতিনটা পিটাইলে আর ফেসবুকে পিটানি ভাইরাল করলেই বাঙালী সোজা।

বলবেন খাবে কি?

যাদের টাকা আছে তাদের সাত দিন সময় দেন বাজার করার। আর যাদের টাকা নাই,বা সংকট আছে তারা ২১দিনের দিনের চাল, ডাল,আলু,তেলের জন্য পরিবারের সদস্যসংখ্যা উল্লেখ করে সিটি কর্পোরেশনের কাছে সাহায্য চেয়ে টেলিফোন হটলাইনে নাম দাখিল করুক। যাদের বিদ্যুৎবিল মাসে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১২শ টাকার মধ্যে আসে তারা ২৫% কম দামে জিনিস পাবে,যাদের বিদ্যুৎ বিল এক হাজারের নীচে ৫ শয়ের উপরে তারা পাবে অর্ধেক দামে আর ৫ শয়ের নিচে যাদের বিদ্যুৎ বিল আসে তারা ফ্রি খাদ্যপণ্য পাবে।

বলবেন বিদ্যুৎ বিলের কাগজ কেন?

বিদ্যুৎ বিলের কাগজই বলে দেবে কার আর্থিক অবস্থা কেমন। এই নাম দাখিলের জন্য সময় দিবেন ৩ দিন। রাত দিন ২৪ ঘন্টা ১শ থেকে প্রয়োজনে ২শ টেলিফোন লাগান। আর সাতদিনের মধ্য চাহিদামত প্যাকেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবার জন্য রেডি করতে হবে। এদের মালামাল প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেবে আর্মি,পুলিশ, বিজিবি,ব্যাটেলিয়ন আনসারের সুপারভিশনে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মনোনীত স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ। লকডাউন চলাকালে প্রতিটি মহল্লায় পণ্যবাহী ট্রাক যাবে। ট্রাকে বসে যার নামে ফোন করা হবে সে এসে বিদ্যুৎ বিলের কপি দেখিয়ে টাকা দিয়ে মালামাল নিয়ে যাবে। যার টাকা দিতে হবে না,সেও বিদ্যুৎ বিল সাথে আনবে,নইলে পাবে না। বস্তিগুলো সব আলাদাভাবে ঘেরাও থাকবে।

বস্তির মালিক বা ওয়ার্ডকাউন্সিলর বস্তির মানুষদের ত্রাণ পৌছে দেবে RAB এর নজরদারিতে। আর এই ২১ দিনে পারলে সবার, না পারলে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ লাখ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করান। ২৪ ঘন্টা জরুরী ওষুধ সাপ্লাইয়ের জন্য প্রতিটি সড়কে ৫টি করে ওষুধের দোকান রেডি থাকবে। আর প্রতি ওয়ার্ডে থাকবে ২০ টি করে অটোবাইক। ফার্মেসির নম্বর ঘন ঘন টিভিতে টিভিতে দেখাবে,লোকাল ডিসলাইনে যাবে। ফেসবুকে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়া হবে। আর ফার্মেসিতে থাকবে অটোবাইকের ফোননম্বর ফার্মেসিই ওষুধ পৌছে দেবে আর টাকা নিয়ে আসবে। ঢাকা এবং মীরপুর স্টেডিয়ামে ফিল্ড হসপিটাল বানান। সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল ৬ মাসের জন্য ডাক্তার নার্স স্টাফসহ অধিগ্রহন করুন। জরুরী ভিত্তিতে অক্সিজেন,অক্সিজেন সিলিণ্ডার উৎপাদন এখনকার চেয়ে ২০ থেকে ২৫ গুন বাড়ান। প্রয়োজনে আমদানী করুন। কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তার কর্মচারীর এই ২১ দিনের বেতন কাটতে পারবে না। বরং অগ্রিম প্রদান করতে হবে। প্রস্তাবগুলো পাগলের প্রলাপের মত লাগতাছে,লাগুক,টিভির বিশেষজ্ঞদের চেয়ে খারাপ কিছু কই নাই। পছন্দ হইলে নিয়েন, এইটা সহজেই বাস্তবায়নও সম্ভব। জানডাও বাঁচবো।