1. khan261278@gmail.com : Oitijjho Bangla : Oitijjho Bangla
  2. oitijjhobangla24@gmail.com : Editor Panel : Editor Panel
  3. jmitsolution24@gmail.com : support :
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বোয়ালমারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত এক মৎস্যজীবীর বৈঠার আঘাতে মধুমতি নদীতে নিখোঁজ অপর মৎস্যজীবী বোয়ালমারীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গাঁজা-ইয়াবাসহ আটক ৩ বোয়ালমারীতে সাবেক মেম্বারের বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কার-টাকা লুট বোয়ালমারীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে মারামারি, আহত ৬ বোয়ালমারীতে পাটজাত পণ্য তৈরি ও হাতপাখা বাজারজাত করণ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন বোয়ালমারীতে শেখ রাসেল শিশু পার্ক উদ্বোধন বোয়ালমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উদযাপন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বোয়ালমারী পুলিশের মতবিনিময় সভা ভাতা নয় পিতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান এক গণমাধ্যমকর্মী

ডক সাহেব : এক জীবন্ত কিংবদন্তী

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০
  • ৫৯৩ জন পঠিত

গাজী শাহিদুজ্জামান

ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলা, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা, নড়াইল জেলার সদর ও লোহাগাড়া উপজেলার মানুষ “ডক” সাহেবকে এক ডাকে চেনেন। সম্মান করেন। ডাকেন “স্যার” বলে। ব্যতিক্রমী এক মানুষ এই ডক সাহেব। সমাজসেবক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। আর ভক্তদের চোখে তিনি একজন আধ্যাত্মিক সাধক৷

রেলের কোনো কর্মী না হয়েও আশির দশকের আগ থেকে খেয়াল হলেই তিনি কালুখালি–ভাটিয়াপাড়া রেলপথের যাত্রীদের টিকেট চেক করতেন টিটিইদের সাথে। বিনা টিকেটের যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করে তাদের রশিদ দিতে বলতেন টিকিট পরীক্ষকদের। কোন টাকা আত্মসাতের সুযোগ ছিল না। নিজের কাছে যে দিন টিকেট কাটার পয়সা থাকতো না, সে দিন রেলের কর্তা ব্যক্তিদের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি ট্রেনে উঠতেন না। রেলের তেল চুরি প্রতিরোধে তিনি ভূমিকা রাখতেন।

২০০০ সালে প্রথম তাঁর সাথে দেখা করি। এরপর একাধিকবার তাঁর সাথে দেখা হয়, কথা হয়। তাঁর প্রকৃত নাম আব্দুল খালেক মুন্সী। পিতার নাম মুন্সী নুরুল হক, মায়ের নাম রহিমা বেগম। গ্রামের বাড়ি বর্তমান ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা গ্রামে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। নিজেকে তিনি DOCK সাহেব নামে পরিচয় দেন। তার কাছ থেকে জেনেছি এর পূর্ণাঙ্গ রূপ – Demonstrator Of the Central Kingdom.

সমাজ ও মানুষের জন্য কিছু করতে তিনি সব সময় উন্মুখ হয়ে থাকেন। একাধিক দিন তাঁকে দেখেছি রাস্তা অথবা নর্দমা পরিষ্কার করতে৷ গরীব মানুষকে তিনি করুণা করে অপমান করতে চান না। তাই তিনি দান না করে বিক্রয় করেন। তিনি ব্যবসায়ী। তবে সব সময় তিনি লোকসান দেন। আমাদের সামনেই একটি লুঙ্গি কিনলেন এবং একজন দরিদ্র মানুষের কাছে তা কেনামূল্যের অর্ধেক টাকায় বিক্রি করে দিলেন।

১৯৭২ সালে তিনি নিজস্ব জায়গায় আব্দুল খালেক বালিকা বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। সরকারি অনুদান ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে পাঁচ বছরের মাথায় স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৩ সালে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্ধারিত বাজেটের সাথে নিজের টাকা যোগ করে একটি রাস্তা করলেও সরকারি নিয়মানুযায়ী মাস্টার-রোল না রাখায় তাঁকে কিছুদিন হাজতবাসও করতে হয়।

প্রায় নব্বই বছর বয়সী ডক সাহেব বর্তমানে ইছাপাশায় তাঁর বাড়িতেই বসবাস করছেন। তবে তাঁর ভক্তরা সবসময় তাঁর খোঁজ-খবর রাখেন এবং তাঁর বাড়িও সরগরম করে রাখেন। তাঁর আরো অনেক কীর্তির গল্প ভক্তদের মুখে মুখে ফেরে।

তাকে নিয়ে ২০০৬ সালের ৬ মে তারিখে “ডক সাহেব : এক জীবন্ত কিংবদন্তী” নামে প্রতিবেদন লেখি ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে প্রকাশিত “সাপ্তাহিক আল হেলাল” পত্রিকায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2025
Development by : JM IT SOLUTION
error: Content is protected !!