বোয়ালমারী প্রতিনিধি: আসন্ন দুর্গাপূজা ঘিরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা এড়াতে ১৫টি পূজা মণ্ডপে নিজস্ব অর্থায়নে সিসি ক্যামেরা ও আগত দর্শনার্থীদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে নলকূপের জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টম্বর) বিকালে ইউনিয়ন পরিষদের নিজ কার্যালয়ে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
রূপাপাত বণিক বাড়ি দুর্গা মন্দিরের সভাপতি লক্ষ্মণ দত্ত, রূপাপাত দক্ষিণ পাড়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি সন্তোষ অধিকারী, বাজার সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি দেব কুমার পোদ্দার, পূর্বমোড়া শ্মশান ঘাট দুর্গা মন্দিরের প্রমথ বিশ্বাস, জাগের দেউলী সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি অপূর্ব সরকার সূতলিয়া বটতলা দুর্গা মন্দিরের সভাপতি রঞ্জিত মজুমদারসহ ১৫ টি মন্দিরের সভাপতি সাধারন সম্পাদকগণের হাতে এসব সামগ্রী ও অনুদানের অর্থ প্রদান করেন তিনি। এসময় প্রায় শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিসি ক্যামেরা ও নগদ অর্থ পেয়ে আনন্দে আপ্লূত হয়ে পড়েন অনেকে।
টোংরাইল উদায়ন সংঘ পুজা মন্দিরের সভাপতি নির্মল বিশ্বাস বলেন – “প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাকর্মী দেওয়ার পরও সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান মহোদয় নিজস্ব অর্থায়নে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা দেওয়ায় আমরা উপকৃত হয়েছি।”
রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়া বলেন- দুর্গাপূজা ঘিরে একশ্রেণির লোক রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা সৃষ্টি করেন। যে কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও তানভীর হাসান চৌধুরীর নির্দেশনা মোতাবেক সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫ দিনের পূজায় অনেক খরচ সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে মন্দির কমিটির উপর চাপ সৃষ্টি না করে আমি নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া আগত ভক্ত দর্শনার্থীদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য প্রতিটি মন্দিরে একটি করে নলকূপ বসানোর জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। আমার এলাকায় এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নাই। আশাকরি এবছরও সকলে নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গা উৎসব উদযাপন করবে।
Leave a Reply