1. khan261278@gmail.com : Oitijjho Bangla : Oitijjho Bangla
  2. oitijjhobangla24@gmail.com : Editor Panel : Editor Panel
  3. jmitsolution24@gmail.com : support :
মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বোয়ালমারীতে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে সাপ্তাহিক চন্দনা পত্রিকার পাঠক মেলার মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের মানববন্ধন বোয়ালমারীতে দুইপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ২০ সানোয়ার মেম্বারের কান্ড বোয়ালমারীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালী গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কে সমুন্নত রাখতে হবে- ভিপি সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু আল আলী অটো ভাটায় মাটি চোরদের হামলায় ম্যানেজার মারাত্মক আহত রাইসা মনির কবরে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা নিবেদন বোয়ালমারীতে পানিতে ডুবে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু বোয়ালমারীতে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার চিঠি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০
  • ৫৭০ জন পঠিত

                                                আমীর চারু বাবলু

ফরিদপুর জেলার সর্বোকনিষ্ঠ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। নাম তাঁর রিজাউল হক মৃধা।পরিবারেরও সর্বোকনিষ্ঠ সন্তান।মা তাকে ডাকতেন রিজা বলে। খুবই শান্তশিষ্ট, ভদ্র আর বড় তিন ভাইয়ের খুবই আদরের ছিল রিজাউল। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকেই ভাইদের সাথে পাড়ি দিয়েছিল ভারত। দেশকে প্রচণ্ড ভালোবাসার থেকে আপন ৩ ভাইয়ের সাথে সে ও নানা বিপত্তি কাটিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারতে গিয়েছিল।

১৯৭১ সাল। রিজাউলের মেঝো ভাই ঢাকায় চাকরীস্থলে, বড়ভাই চট্টগ্রাম।

রিজাউল মৃধা তখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। কতই বা বয়স ছিল তার। সেই বয়সেই সে দেশের উত্তাপ টের পেয়েছিল। মেঝো ভাইকে লেখা ১৬/০৩/১৯৭১ খ্রীঃ একটা চিঠিতে সে কথা পাওয়া গেল। একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার লেখা চিঠি হাতে পেয়ে আমি কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। সে কথা পরে বলব-

রিজাউল ভারতের চাকুলিয়ায় ট্রেনিং শেষ করে যোগ দিয়েছিল ৮ নম্বর সেক্টরের নিজ জন্মভূমি বোয়ালমারীর মুক্তিযোদ্ধাদের দলে। পাকিস্তানি বাহিনির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নিয়েছিল সে।৭ ডিসেম্বর যুদ্ধে শহীদ হয়েছিল রিজাউল।

ফরিদপুরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর দিন ছিল সেটি। ভুল তথ্য পেয়ে দুইদল মুক্তিযোদ্ধা লিপ্ত হয়েছিল যুদ্ধে। বোয়ালমারীর মুক্তিবাহিনী প্রধান জলিল বিশ্বাষের নেতৃত্বে তেলজুড়িতে একটি অপারেশনে গিয়েছিল ৮জন মুক্তিযোদ্ধা। সে সময় ভারত থেকে নিজ দল নিয়ে বোয়ালমারী হয়ে মাদারিপুর যাচ্ছিল নৌপরিবহন মুন্ত্রী শাজাহান খান। তাকে ভুল তথ্য দেওয়া হলে মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি দল মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। জলিল বিশ্বাস, রিজাউলসহ সে যুদ্ধে শহীদ হন ৪ জন।

শহীদ রিজাউলের কবর দেখতে গিয়েছিলাম, গিয়েছিলাম যেখানে সে শহীদ হয়েছে সেই বাড়ীতেও। মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি তবে আমার নিকট সবচেয়ে মূল্যবান এই চিঠিটি।

রিজাউলদের স্বপ্নের মৃত্যু নেই। সে লিখেছিল-
‘বাংলার জয় অবশ্যম্ভাবী, বাংলার জয় হবেই। জয় বাংলা।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2025
Development by : JM IT SOLUTION
error: Content is protected !!