বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি হবে ১ বছরের। নির্বাচিত কমিটি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হলে সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন সভা আহ্বান করে দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতিতে নির্বাচন বা সিলেক্টেড কমিটি গঠন করতে পারে।
বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। ২০২৩ সালে এ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। দুঃখের বিষয় এ কমিটি নির্বাচন দূরে থাক এক বছরে একটি সভা পর্যন্ত করতে পারেনি।
দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নয় সাধারণ সদস্যরা অনেকবার চেষ্টা করে কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ১৯ সদস্যের মধ্যে দুজন আত্মগোপনে যাওয়ায় ১৭ সদস্যের মধ্যে ১১ জনের সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন করে নতুন কমিটি গঠন করে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাবেক সভাপতি ১ নং নির্বাহী সদস্য হন। যে ৪ জন জেনারেল সদস্য ছিলেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগ সদস্যরা সাংবাদিকতায় নিষ্ক্রিয়। এ ক্ষেত্রে মাঠে কাজ করা সাংবাদিকরা মিলে নতুন কমিটি হয়।
আমরা দেখলাম নিষ্ক্রিয় সদস্যরা তিন বছরে নির্বাচন বা একটি সভা করতে ব্যর্থগণ নতুন কমিটি হওয়ার পর পদ পদবি হারিয়ে মাত্র ৫ জন আবার একটি কমিটি করেছে। অনিয়মতান্ত্রিক গঠনতন্ত্র বিরোধী উপায়ে। নতুন সদস্য নিতে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতি লাগে সেখানে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলেই নতুন সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করে বলছেন তারা বৈধ। এমন কি ১১ সদস্যের যে কমিটি তার থেকে তিনজন সদস্যকে তারা কমিটিতে স্থান দিয়েছেন তাদের সাথে কোনো প্রকার আলাপ আলোচনা না করে। এবার আপনারাই বলুন কোন কমিটি বৈধ? ১৭ সদস্যের গঠিত কমিটি না ৫ সদস্যের?
গণতন্ত্র ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১১ সদস্যের কমিটি বৈধ, একই নামে অন্য কমিটি গঠন করা হলে তা অবৈধ
Leave a Reply