টাইমস বাংলা ডেস্ক – জ্বলে উঠলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান। এই জুটি যদি জ্বলে ওঠে, তা হলে সেই দিন বিপক্ষের সর্বনাশ হয়ে যায়। যেমনটা হল ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের। দুই তারকাই এ দিন হাফসেঞ্চুরি করেন। সেই সঙ্গে বাবর-রিজওয়ান জুটি পার্টনারশিপের সেঞ্চুরি করে গড়ে ফেলল নয়া নজিরও। সেই সঙ্গে উড়িয়ে দিল নিউজিল্যান্ডকেও। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো মোট তিন বার জুটিতে সেঞ্চুরি করে নতুন বিশ্বরেকর্ড করে ফেললেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। ২০২২ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মহম্মদ রিজওয়ান প্রথম উইকেটে ১০৫ রান যোগ করেন, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই জুটির করা তৃতীয় শতরানের পার্টনারশিপ। এর আগে দুই তারকা ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে শতরানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। এবং এর পর ওই বিশ্বকাপেই নামিবিয়ার বিপক্ষে আরও একটি শতরানের পার্টনারশিপ গড়েছিল বাবর-রিজওয়ান জুটি। আর বৃহস্পতিবার তৃতীয় বার জুটিতে সেঞ্চুরি করে তাঁরা পিছনে ফেললেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট-ম্যাথু হেডেন এবং কুমার সাঙ্গাকারা-মাহেলা জয়াবর্ধনে জুটিকে। গিলক্রিস্ট-হেডেন এবং সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে জুটিতে দু’বার করে শতরানের পার্টনারশিপ করেছিলেন। সেই নজির ছাপিয়ে তিন বার জুটিতে শতরান করে বিশ্বরেকর্ডের দখল নিলেন পাকিস্তানের দুই তারকা ওপেনার। ২০২২ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর এবং রিজওয়ানের জুটি সুপার-টুয়েলভ রাউন্ডে বিশেষ কোনও কৃতিত্ব দেখাতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে দু’জনকেই তীব্র সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়। ওয়াকার ইউনিস এবং ওয়াসিম আক্রমের মতো প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও বলেছিলেন যে, এই দু’জনের সেমিফাইনাল বা ফাইনালে একসঙ্গে ইনিংস শুরু করা উচিত হবে না। তবে সেমিফাইনালে সব নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন বাবর-রিজওয়ান।
এ দিন টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথমে কিউয়িরা ব্যাট করতে নামলে শাহিন আফ্রিদি বড় ঝটকা দেন। শাহিনের বলে মাত্র ৪ রান (৩ বলে) করে ক্রিজে ফেরেন ফিন অ্যালেন। এর পর শাদাব খান দুরন্ত রানআউট করেন ডেভন কনওয়েকে। ২০ বলে ২১ করে তিনিও সাজঘরে ফেরেন। তবে দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৪২ বলে ৪৬ করেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টির প্রেক্ষিতে খুবই স্লো ব্যাটিং করেছেন উইলিয়ামসন। যে কারণে সে ভাবে স্কোরবোর্ডে রান যোগ হয়নি। এ দিন ব্যর্থ হন গ্লেন ফিলিপসও (৮ বলে ৬ রান)। তবে ড্যারিল মিচেলের ৩৫ বলে অপরাজিত ৫৩ রান নিউজিল্যান্ডকে দেড়শো পার করতে সাহায্য করে। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫২ রান করে কিউয়ি ব্রিগেড। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ২ উইকেট নেন। রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ১০৫ রান করে ফেলে। বাবর আজম ৪২ বলে ৫৩ রান করেন। ৪৩ বলে ৫৭ রান করেন মহম্মদ রিজওয়ান। ওপেনিং জুটিই পাকিস্তানের জয়ের রাস্তা পরিষ্কার করে দেয়। তিনে নেমে মহম্মদ হ্যারিস ২৬ বলে ৩০ রান করেন। ১৯.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে ফেলে পাকিস্তান। ৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে তারা ম্যাচ জিতে নেয় তারা। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ২ উইকেট নিয়েছেন।