টাইমস বাংলা ডেস্ক – টানা কয়েকদিন ধরে শিয়ালের উৎপাতে তটস্থ গ্রামবাসীরা। মাঠে গেলেই তেড়ে কামড়ে দিচ্ছে শিয়াল। এমন অবস্থায় বনদফতরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত শিয়ালকে পিটিয়ে মারলেন স্থানীয়রা। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এমন ঘটনায় সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা। একই সঙ্গে বনদফতরের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত ২৫ জন গ্রামবাসীকে শিয়ালটি কামড়েছে। সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে এলাকার মাঠে গিয়েছিলেন ধীরেন মুণ্ডা নামে এক কৃষক। সেই সময় শিয়ালটি তাঁকে আক্রমণ করে। নিজেকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন ওই কৃষক। আধঘণ্টা ধরে শিয়ালের সঙ্গে তার কসরত চলে। কিন্তু, তারপরেও শিয়ালটি তাকে না ছাড়ায় লাঠি সোটা নিয়ে ছুটে যান গ্রামবাসীরা। কিন্তু শিয়ালটি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বাকি গ্রামবাসীদের উপরে হামলা করার চেষ্টা চালায়। তাই বাধ্য হয়ে শিয়ালটিকে পিটিয়ে মারেন গ্রামবাসীরা। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শিয়াল হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। ফলে এক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা অপরাধ করেছে বলেই মনে করছেন পশুপ্রেমীরা। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, আক্রান্ত করার পরেই তারা বহুবার বনদফতরের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও বনদফতর ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়েই তারা লাঠি তুলে নিয়েছিলেন। শিয়ালের আক্রমণের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতেই তারা এই কাজ করেছেন বলে দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা পরিষদের বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ এটিএম ফারহাদ জানান, বন্যপ্রাণী হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। এরকম ঘটনা কেন ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।