টাইমস বাংলা ডেস্ক – উৎসবের মরশুম শেষের পথে। ভাইফোঁটা মিটে গেলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন শাসক–বিরোধী সব পক্ষের কাছেই পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তাই বিরোধী দলগুলির আগেই মাটি কামড়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়া কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, গ্রামের মহিলারা যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক তাঁদের সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসতে চলেছে দলের মহিলা শাখা। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘চলো গ্রামে যাই।’ গ্রামীণ মহিলাদের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য গ্রামে সভা করবেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীরা। আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি। প্রায় আড়াই মাস ধরে চলবে এই কর্মসূচি প্রতিটি গ্রামে। ২০২৩ সালের প্রথমেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। তবে এবার মহিলাদের আসন আরও বাড়বে বলে সূত্রের খবর। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আরও বেশি করে মহিলাদের অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নয়া কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। যার নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে এই কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলার বুথে বুথে পৌঁছে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা নেত্রীরা। কোথাও যাবেন মালা রায়, কোথাও শশী পাঁজা, কোথাও কাকলি ঘোষদস্তিদার–সহ অন্যান্য হেভিওয়েট নেত্রীরা। প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে সভা করবেন তাঁরা। নয়া এই কর্মসূচিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে গ্রাম এবং পঞ্চায়েতকে। সমস্ত সভার পর বুথভিত্তিক রিপোর্ট জমা পড়বে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে। এবার গ্রামে গিয়ে সেখানকার সুখ–দুঃখের কথা জানার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাম ঘুরে এসে দলের প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাব জানাতে হবে শীর্ষ নেতৃত্বকে। রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে বুথস্তরে সভা করব। সেখানকার মানুষের কথা শুনব। রাজ্যের উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলির কথা তাঁদের কাছে তুলে ধরব। এভাবে আমরা দলনেত্রীর নির্দেশে শুধু ভোট নয়, সর্বদা তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেব।’