টাইমস বাংলা ডেস্ক -সোমবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ দক্ষিণবঙ্গে। এদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে সিত্রাং। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে সরাসরি এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে না পড়লেও এর প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এই আবহে আগেভাগে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। রবিবার থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে বাহিনী। উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং চালিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে বাহিনী।
সুন্দরবন এলাকা থেকে শুরু করে দিঘা, সব জায়গাতেই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। নদীতে বোটে করে ঘুরে বেরাচ্ছেন এনডিআরএফ সদস্যরা। জানা গিয়েছে, এনডিআরএফ-এর মোট ১৪টি দল বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি টিম থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। দু’টি টিম থাকছে উত্তর ২৪ পরগনায়। এছাড়া তিনটি টিম থাকছে পূর্ব মেদিনীপুরে। পাশাপাশি এনডিআরএফের ১টি টিম থাকছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। পাশাপাশি কলকাতার পাশ্ববর্তী হুগলিতে থাকছে একটি টিম। নদিয়াতেও থাকছে একটি দল।
উল্লেখ্য, সোমবার, ২৪ অক্টোবর দুপুর বা বিকেল নাগাদ সিত্রাং প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তার পর এটি উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে পারে। এরপর আগামিকাল ভোর নাগাদ বাংলাদেশের বরিশালে তিনকোণা দ্বীপ এবং সন্দ্বীপের মাঝামাঝি কোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে। এই আবহে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৬০ কিমিতে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যা পরবর্তীতে বেড়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিমি বা ৯০ কিমিতেও পৌঁছাতে পারে।