টাইমস বাংলা ডেস্ক – কালীপুজো ও দীপাবলির মতো আলোর উৎসবে কোনওরকমের অপরাধ যাতে না ঘটে সেজন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কলকাতা পুলিশ। শব্দবাজি বা পরিবেশ দূষণকারী বাজি বিক্রি বা কেনার উপরেও থাকবে কড়া নজর।
এবার বাজির ব্যবহার নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে পুলিশকে। সেই কারণেই বাড়তি লক্ষ্য নিয়ে উৎসবের নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, গত দু’দিনে সাড়ে সাত হাজার কিলো নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৪৫ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। উৎসবের দিনে কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে শহরকে রাখতে সাড়ে চার হাজার পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি বিসর্জনের দিনও বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। সেদিন আরও বাড়তি পাঁচশো পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হবে বলেই খবর।
রাস্তাঘাটগুলিতে যাতে নিরাপত্তা বজায় থাকে সেজন্য সাদা পোশাকের পুলিশও নজরদারিতে থাকবে। জোরে গানবাজনার ওপরও কড়া নজর রাখতে হবে ক্লাবগুলিকে। যে কোনওরকমের অশান্তি হলেই স্থানীয় থানা, ফাঁড়ি ও পিকেটে থাকা পুলিশ কর্মীদের জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ ও আদালতের বেধে দেওয়া সব নিয়মকানুন মেনে ভাসান, শোভাযাত্রা করতে হবে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থার মধ্যে পড়তে হবে পুজোর কর্মকর্তাদের।
কালীপুজো ও দীপাবলির মতো এবছরের শেষে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের দিনে বাজি পোড়ানো সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে পুলিশ। কালীপুজো, দীপাবলিতে রাত আটটা থেকে দশটা, ৩০ অক্টোবর ছটের দিন সকাল ছ’টা থেকে আটটা, বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে রাত ১১.৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে। তবে সবই পরিবেশবান্ধব বাজি হতে হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।