টাইমস বাংলা ডেস্ক – ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বামেদের আন্দোলন নিয়ে ঘুরিয়ে সমালোচনা করতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। তিনি বলেন, ‘বামেরা চিরদিন বিরোধিতা ভাল করতে পারে। আন্দোলন করতে পারে, সরকার চালাতে পারে না। উন্নয়ন করতে পারে না। তাই লোকে বিসর্জন দিয়েছে। তারা আন্দোলন করবে সেটা দেখে বাংলার মানুষের ধারণা হয়ে গিয়েছে, ওটাই ওদের ভাল কাজ। তাই বাংলার মানুষ এই কাজের বিরোধিতা করছেন। সমস্ত দল করছে। যে ধরনের অমানবিক ব্যবহার করা হয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের অধিকারকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে, সবাই তার বিরোধিতা করছে।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেখানে গিয়েছিলেন। সরাসরি পৌঁছে গিয়েছিলেন করুণাময়ীতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারপর মিডনাইট অপারেশন হয়েছিল। তাতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীদের আমরণ অনশন মঞ্চ। সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার ময়দানে নামে বামেরা। আর সেটাই তাঁরা ভা পারেন বলে কটাক্ষ করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।, শুক্রবার উত্তপ্ত হতে থাকে করুণাময়ী, সিটি সেন্টার চত্বর এবং শিয়ালদা চত্বর। এসএফআই–ডিওয়াইএফআই কর্মী–সমর্থকরা জমায়েত করেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায় তাঁদের। সিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছে যান যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেখানে জমায়েতের চেষ্টা করেন তিনি। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকায়, তাঁকেও সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বামেদের আন্দোলনে তপ্ত হয় করুণাময়ী চত্বর। এই আন্দোলন নিয়েই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বামেরা ভাল বিরোধিতা করতে পারেন।’