টাইমস বাংলা ডেস্ক – দেশের জার্সিতে শামি শেষবার ওয়ান ডে ও টেস্ট খেলেন গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে। তবে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে তিনি শেষবার টি-২০ খেলেছিলেন প্রায় এক বছর আগে গত টি-২০ বিশ্বকাপে। শামি ২০২১ সালের নভেম্বরে দুবাইয়ে নমিবিয়ার বিরুদ্ধে শেষ আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেন।
এবার প্রাথমিকভাবে বিশ্বকাপের রিজার্ভ প্লেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন শামি। তবে বিশ্বকাপের আগে কোনও আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তাঁর। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ হাতছাড়া হয় তাঁর। শেষমেশ জসপ্রীত বুমরাহর পরিবর্ত হিসেবে শামিকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ঢুকিয়ে দেন ভারতীয় নির্বাচকরা। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল বেশ কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে যান বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য। শামি শেষমেশ এনসিএ-তে ফিটনেস টেস্টে পাশ করার পরে দিন কয়ের আগে অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যান এবং জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেন। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ৩৯ ওভার পর্যন্ত শামির কোনও ভূমিকা ছিল না। ম্যাচ যখন হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম, একেবারে শেষ ওভারে রোহিত বল করতে ডাকেন শামিকে। তিনি এক ওভারেই কার্যত হারা ম্যাচ জিতিয়ে দেন ভারতকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১১ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। হাতে ছিল ৪টি উইকেট। টি-২০ ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জেতা বিশেষ কঠিন নয় ব্যাটিং দলের। শামি প্রথম বলে ২ রান খরচ করেন। দ্বিতীয় বলে আরও ২ রান তোলেন কামিন্স। তৃতীয় বলে কামিন্সকে সাজঘরে ফেরান শামি।
ওভারের চতুর্থ বলে রান-আউট হন অ্যাস্টন এগর। শেষ ২টি বলে শামি পরপর বোল্ড করেন জোস ইংলিস ও কেন রিচার্ডসনকে। ভারতের ৭ উইকেটে ১৮৬ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ১৮০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৬ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ভারত। শামি ১ ওভার বল করে মাত্র ৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন। তাঁর ওভারের শেষ ৪টি বলে পরপর চারটি উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দীর্ঘদিন পরে মাঠে ফিরে শামির এমন পারফর্ম্যান্স ক্রিকেটপ্রেমীদের মন্ত্রমুগ্ধ করতে বাধ্য।