টাইমস বাংলা ডেস্ক – সম্প্রীতির এক অনন্য় নজির মালদার চাঁচলে। প্রতি বছর মালদহের চাঁচলে পাহাড়পুরের চণ্ডীমাতার বিসর্জন দেওয়া হয়। আর সেই চণ্ডীমাতার বিসর্জনেই দেখা যায় বাংলার সেই চিরন্তন সম্প্রীতির ছবি। গোধূলি লগ্নে যখন দেবীকে বিসর্জন দেওয়ার জন্য় নিয়ে যাওয়া হয় তখন সেই পথে আলো দেখান সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা। আসলে উমাই বলা হোক, আর দুর্গা কিংবা দেবী চণ্ডী, একেবারে যেন ঘরের মেয়ে। গ্রাম থেকে যখন সেই মেয়ে চলে যান দূর দেশে তখন আপামর মানুষের একটাই প্রার্থনা, আবার এসো মা। আবার এক বছরের অপেক্ষা। এটা মালদার চাঁচলের এক চিরন্তন প্রথা। একটা সময় ছিল যখন গ্রামে বিদ্যুৎ তখনও আসেনি। সেই সময়ও গোধূলি লগ্নে বের করা হত দেবীকে। দেবী বিসর্জন হবে মরা মহানন্দা নদীতে। আর ঢাকের আওয়াজ পেলেই ঘর থেকে লণ্ঠন নিয়ে বেরিয়ে আসতেন গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের বধূ। নদীর অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে লণ্ঠন দেখাতেন তাঁরা।
তবে সময় এখন অনেকটাই পেরিয়ে গিয়েছে। এখন ঘরে ঘরে আর লণ্ঠন আর সেভাবে পাওয়া যায় না। তবে প্রথা আর আবেগটা রয়ে গিয়েছে আগের মতোই। বর্তমানে লণ্ঠনের জায়গায় টর্চ আর মোবাইলের ফ্লাশ লাইট দিয়ে দেবী বিদায়ের সময় আলো দেখান সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা। এমনকী নতুন প্রজন্মও অত্যন্ত সাদরে গ্রহণ করেছে এই চিরন্তন প্রথাকে।