টাইমস বাংলা ডেস্ক -জলপাইগুড়ির মাল নদীতে হড়পা বানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল আট। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একাদশীর সকালেও ভেসে যাওয়া ব্যক্তিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জানা যায়, গতরাতে মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় আচমকা হড়পা বান ভাসিয়ে নিয়ে যায় অর্ধশতাধিক মানুষকে। সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তের ঘটনা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্য হয়েছে ৮ জনের। যদিও স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে যে ১০ জনের দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। এদিকে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। এদিকে এখও পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মাল নদীর মাঝে একটি চরে উঠে অনেকেই প্রাণ বাঁচান বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে উদ্ধারকাজে নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পৌঁছে যায় দমকল ও পুলিশও। রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিকবড়াইক ঘটনাস্থলে যান গতকাল রাতেই। বানে ভেসে যাওয়া ১১ জনকে উদ্ধার করে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, নদীর চরে আটকে রয়েছেন ২০ জন। পরে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, চরে আশ্রয় নেওয়া অনেককেই উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘মালবাজারে হঠাৎ করেই হড়পা বান আসে। এর জেরে নদীর পাশে থাকা ভক্তরা পালানোর সময় পাননি। এই অঞ্চলের হড়পা বানের এটিই বৈশিষ্ট্য। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কথা বলব এবং এলাকা পরিদর্শন করব। সমস্ত বিভাগকে সতর্ক করা হয়েছে।’
যদিও জলপাইগুড়িতে হড়পা বানের পরই সরকারের দিকে আঙুল তুললেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তাঁর বক্তব্য, এই বিষয়টি সরকারের সামনে আগেও উত্থাপন করেছিলেন তাঁরা। বিজেপি বিধায়ক দাবি করলেন, ‘ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যখনই নদীতে জল স্তর বৃদ্ধি হয় তখনই স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করার জন্য একটি ব্যবস্থা চালু করা উচিত সরকারের।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও এই সমস্যাটি উত্থাপন করেছি। মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গ এবং ভুটানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় সরকারের এই বিষয়টি আঁচ করা উচিত ছিল।’