টাইমস বাংলা ডেস্ক – নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় হড়পা বানে বিপর্যয় নেমে আসে। তাতে অনেকে নিখোঁজ হয়ে যান, কিছু দেহ উদ্ধার হয়েছে। আবার আহত হয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষজন। এই আহতদের চিকিত্সা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে মালবাজার হাসপাতালে ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা। পরে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এমনকী হাসপাতালে যান জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বুধবার রাতেই হড়পা বানে আহতদের দেখতে হাসপাতালে আসেন মাল বিধানসভার বিধায়ক বুলুচিক বরাইক। তিনি নিহতদের আত্মীয়দের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে মালবাজার এলাকায় মাল নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছিল। বহু মানুষ বিসর্জনের জন্য প্রতিমা নিয়ে এসেছিলেন ট্রাকে। ১০টিরও বেশি ট্রাকে চড়ে মানুষ এসেছিলেন। প্রতিমা নিরঞ্জন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে তখন আচমকা ধাক্কা দেয় হড়পা বান। সেদিকে খেয়াল ছিল না কারও। তার জেরে নদীতে যাঁরা নেমেছিলেন তাঁদের অনেকেই স্রোতের টানে ভেসে যান। ট্রাকও স্রোতের টানে ভেসে গিয়েছিল। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের উদ্ধার করতে এনডিআরএফ’র দল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকগুলি দেহ উদ্ধার হয়েছে। খোঁজ মিলছে না অনেকের। তবে রাতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহতদের উদ্ধার করে মালবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, বিধায়ক এসে দেখে গিয়েছেন ঠিকই। তবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে আহতদের সেভাবে দেখভাল করা হচ্ছে না। চিকিৎসা যথাযথ হচ্ছে না। দেখতেই আসছেন না চিকিৎসকরা। ব্যথা–যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন সবাই। সেটা দেখার মতো চিকিৎসক নেই। ওষুধ ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী পরিবারের সদস্যদের কথা শোনা হচ্ছে না। মানুষ মারা গেলে হাসপাতাল তার প্রাণ ফেরাতে পারবে? প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হড়পা বানের জেরে কয়েকজন ভেসে যান। তাঁদের মধ্যে সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কয়েকজন নদীর মাঝে চরে আশ্রয় নেন। যাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁদের সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নদীতে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। নদীর ধার খালি করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজে রয়েছে—পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী।