টাইমস বাংলা ডেস্ক – খরচভার অনেক। তাই আর পুজো করবে না বিজেপি। ষষ্ঠীর দিন ইজেডসিসিতে দলের পুজো উদ্বোধনে এসে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেকথা জানিয়েছিলেন। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা। অনেকেই বলছেন, এই সিদ্ধান্তে বিজেপির দেউলিয়াপনা প্রকাশ্যে এসেছে।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি বলছে আর পুজো করবে না। বলছে এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ওদের দম ফুরিয়ে যাচ্ছে। তৎকাল বিজেপি এই পুজোয় গিয়ে আবার পুরনো পুজোর ছবি দিয়ে সেগুলোকে বিজেপির পুজো না বলে। আজ যে বিজেপিতে গিয়েছে তৎকাল বিজেপি, কাল তার বিজেপি ছাড়তে সময় লাগবে না। কিন্তু আদি বিজেপি নেতারা যদি নিজেদের পাড়ায় নিজেদের পুজোয় থাকতেন, তা হলে তো হল ভাড়া করে পুজো করতে হয় না। তার মানে এই নেতাদের কোনও পুজো নেই। কোনও পাড়া নেই। এদের দেউলিয়াপনাটা আরও বেশি করে ধরা পড়ে যাচ্ছে।”
বাংলায় বিজেপি এই বিধাননগরের ইজেডসিসিতে এবারই শেষ দুর্গাপুজো বলে জানিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিন বছরেই কেন বন্ধ হতে চলেছে এই পুজো। সুকান্তবাবু জানিয়েছিলেন, ‘‘পুজো করার বিপুল খরচ বহন করার ক্ষমতা নেই দলের। পুজো করতে প্রতি বছর ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এই বিপুল খরচ জোগাড় করা মুশকিল।’’
বিধানসভা নির্বাচনের আগের বছর ইজেডসিসিতে প্রথম দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল বিজেপি। করোনাকালের শুরুতে সেই পুজোয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহের অন্ত ছিল না। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুজোর আয়োজনে ভাটা পড়ে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পেরে অনেকেই তৃণমূলে ফিরে যান। উৎসাহ হারান বিজেপি নেতাদের একাংশ। আর চলতি বছর তো কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতিতে পুজোর আয়েজন হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, পুজো করলে পরপর তিনবার করতেই হয়। এবার এই পুজোর তৃতীয় বর্ষ।