টাইমস বাংলা ডেস্ক – অষ্টমীর সকালেই বিসর্জনের বিষাদ জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। ঝড়বৃষ্টিতে অঞ্জলির সময়ে হুড়োহুড়ির চোটে ভেঙে পড়ল পুজোমণ্ডপ। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমাও। আর নিজের আয়োজিত পুজোর এই অবস্থা দেখে কেঁদে ফেললেন বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তিনি দায় চাপিয়েছেন মণ্ডপ নির্মাতাদের উপর।
পুজোর সময়ে বঙ্গে আগাম ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। সেই পূর্বাভাসই সত্যি হল অষ্টমীর সকালে। সকাল থেকে জেলা জুড়ে শুরু হয়ে যায় ঝড়বৃষ্টি। অঞ্জলির সময়ে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের হুড়োহুড়ি ও দুর্যোগের জোড়া ধাক্কায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের কদমতলা পাতিলাভাসা সর্বজনীনের পুজোমণ্ডপ। প্রতিমাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও কেউ আহত হননি। তবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দর্শনার্থীরা।
এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। প্যান্ডেল ভাঙার ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন বিধায়ক, যে চোখের জল ফেলছেন তিনি। বলেন, ”আমার জীবনে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। খুঁটি ভেঙে হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেল মণ্ডপটা। অষ্টমীর দিন এমনটা হওয়ায় এত খারাপ লাগছে যে বলার কথা না। চোখে জল চলে আসছে।” প্যান্ডেল নির্মাতার ভুলেই এত বড় ক্ষতি বলে মনে করেন তিনি।পাশাপাশি, এদিন ঝড়বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি-সহ একাধিক জায়গায় পুজোর আলোকসজ্জার তোরণ ভেঙে পড়েছে। তাতে যানচলাচল ব্যাহত হয়।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সত্যি করে অষ্টমীর সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। পুজোর আনন্দে কিছুটা বাধা পড়েছে উত্তরবঙ্গবাসীর। তবু অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মণ্ডপেই ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁরা। রাজগঞ্জের কদমতলা পাতিলাভাসা সর্বজনীনে এমন অঘটন ঘটনায় এলাকাবাসীরও মনখারাপ।