টাইমস বাংলা ডেস্ক -কড়া নিরাপত্তায় গোটা বাংলাদেশে শুরু হয়েছে দুর্গাপুজো। গত বছর মণ্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দু বিরোধী হিংসার জেরে এবছর সেদেশের ৩২,০০০ দুর্গাপুজোর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার আয়োজন করেছে হাসিনা সরকার। সঙ্গে পুজো আয়োজনের জন্য জারি করা হয়েছে একাধিক বিধিনিয়ম। দুর্গাপুজোয় যখন এপার বাংলা আনন্দে ভাসছে, তখন ওপার বাংলায় আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন হিন্দুরা। বলছেন, ঠাকুর ঠাকুর করে পুজোটা নির্বিঘ্নে কাটলে বাঁচি।
এবার দুর্গাপুজো আয়োজনে একাধিক শর্ত আরোপ করেছে বাংলাদেশ সরকার। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে সেদেশের প্রশাসন। জার্মান রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডয়সে উইলের বাংলা সংস্করণে জানানো হয়েছে, মোট ৯টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে দুর্গাপুজোর আয়োজনে।
এবার দুর্গাপুজো আয়োজনে একাধিক শর্ত আরোপ করেছে বাংলাদেশ সরকার। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে সেদেশের প্রশাসন। জার্মান রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডয়সে উইলের বাংলা সংস্করণে জানানো হয়েছে, মোট ৯টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে দুর্গাপুজোর আয়োজনে।
১. পূজামণ্ডপে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়াও ২৪ ঘণ্টা আনসার বাহিনী(আধাসামরিক বাহিনী) দায়িত্ব পালন করবে৷
২. গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা পূজা মণ্ডপগুলিতে নজরদারি করবেন৷
৩. সব পূজামণ্ডপে বাধ্যতামূলভাবে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে৷
৪. এমন জায়গায় পূজামণ্ডপ করা যাবে না, যেখানে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না৷
৫. পূজামণ্ডপের স্বেচ্ছাসেবকদের বাধ্যতামূলকভাবে হাতে আর্মব্যান্ড পরতে হবে৷
৬. পূজায় যে কোনও ধরনের গুজবের ব্যাপারে সতর্ক নজর রাখবে প্রশাসন৷ বিশেষ করে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করা হবে৷ কোনো ধরনের গুজব ছড়ানোকে কঠোর হাতে দমন করা হবে৷
৭. পূজার সময় পুলিশ সদর দপ্তর এবং জেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে৷ ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা যাবে৷
৮. থাকবে ভ্রাম্যমাণআদালত৷
৯. আজানের সময় পূজামণ্ডপে বাদ্যযন্ত্রের শব্দ সহনীয় রাখতে বলা হয়েছে৷
সেদেশের পুজো উজ্জাপন পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি কাজল দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার চাইলেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে। গত বছর পুলিশের কাণ্ডজ্ঞান হীনতাতেই হিংসা হয়েছে। পুলিশ প্রতিমার পায়ে কোর আন রাখার ঘটনা ফেসবুক লাইভ করতে না দিলে এত কিছু হত না। পুজোর ৫ দিন নয়। পুজোর আগে থেকে প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাচ্ছি। এটা কে থামাবে?’
পূজা উজ্জাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার জানিয়েছেন, ‘সব মণ্ডপে কি সিসিটিভি লাগানো সম্ভব? বাজেটের একটা ব্যাপার আছে। সিসিটিভি – নিরাপত্তা না থাকলে হামলা হবে এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। তার মানে হামলার পরিবেশ রয়েছে। আমাদের যা করার করেছি। কিন্তু নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।’