টাইমস বাংলা ডেস্ক – করোনা পর্বে বিধি নিষেধ থাকার কারণে গত দু’বছর ধরে সে রকম ভাবে উৎসবে শামিল হতে পারেনি মানুষ। এবার দুর্গাপুজোয় সেই বিধি নিষেধ না থাকার ফলে এখন থেকে পুজো পরিক্রমা শুরু করে দিয়েছেন দর্শনার্থীরা। আর সেই পরিক্রমায় বেরিয়ে পেট পুজো কি বাদ যায়! অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে বর্ধমানের শক্তিগড়ের ল্যাংচা। তাই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ল্যাংচা তৈরি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে হানা দিলেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। দুর্গাপুজোর পরে রয়েছে কালীপুজো, ভাইফোঁটা এবং জগদ্ধাত্রী পুজো। প্রায় এক মাস ধরে চলবে পুজোর মরশুম। আর এই মরশুমে মিষ্টি ছাড়া চলে না। গতকাল শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে হানা দিয়ে তা স্বাস্থ্যসম্মত কিনা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি গুণগতমান পরীক্ষা করে দেখেন আধিকারিকরা। খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ছাড়াও জেলার আধিকারিকরা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। ল্যাংচাতে স্বাস্থ্যসম্মত রং ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। এছাড়াও, সকলের লাইসেন্স রয়েছে কিনা তাও আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি, যেসব দোকানের রান্নার জায়গা অপরিষ্কার হয়েছে সেগুলি দ্রুত পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিকরা। যে সমস্ত রং শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক নয় সেগুলি ব্যবহার করা যাবে বলে দোকানদারদের জানান আধিকারিকরা। একইসঙ্গে পরিমাণের বেশি রং কোনওভাবেই ব্যবহার করা যাবে না বলে তারা সতর্ক করেছেন। অন্যদিকে, অনেকের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। ল্যাংচা হাবে অবস্থিত সেই সব দোকান মালিকদের ১৫ দিনের মধ্যে তাদের লাইসেন্স করিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন দিয়েছেন আধিকারিকরা।