টাইমস বাংলা ডেস্ক – রঘুনাথপুরে ইন্ডাস্ট্রি হাব গড়ে উঠবে। যার নাম দেওয়া হবে ‘জঙ্গল সুন্দরী কর্ম নগরী’। সে কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই রঘুনাথপুরে প্রায় ৬০০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠছে কারখানা। যার খরচ ৪৫০০ কোটি টাকা। এই কারখানা গড়ে তোলার আগে রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লক কমিউনিটি হলে জনশুনানি হয়। সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক তামিল ওভিয়া এস, রঘুনাথপুর–১ বিডিও রবিশঙ্কর গুপ্তা, রঘুনাথপুর–১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অষ্টমী হাঁসদা এবং অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এখানে মহকুমাশাসক জানান, শিল্প নিয়ে এলাকার মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছিল। জনশুনানিতে বাসিন্দারা শিল্প করার পক্ষেই মত দিয়েছেন। বামফ্রন্টের জমানায় রঘুনাথপুরে শিল্পহাব তৈরির কাজ শুরু হয়। তখন একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, একটি স্টিল এবং লৌহ-ইস্পাত শিল্প করার জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছিল। যদিও রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ ছাড়া আর কোনও কাজ হয়নি। পালাবদলের পর দু’টি শিল্পের জন্য দেওয়া জমি রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে। একুশের নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সভায় রঘুনাথপুরে শিল্পের কথা তুলে ধরেন। শিল্প সম্মেলনেও রঘুনাথপুরের শিল্পের উপযুক্ত পরিবেশের কথা বলা হয়। রাজ্য সরকারের নতুন বোর্ড গঠনের পরই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো রঘুনাথপুরে একটি কারখানা কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘শিল্প হলে হবে কর্মসংস্থান। এলাকার আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। রাজ্য সরকার শিল্পের জন্য তৎপর।’ আর কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারখানার জন্য প্রায় ৪.৫ কিমি জায়গায় সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ৬০০ একরের মধ্যে ৪০০ একর জায়গায় হবে কারখানা। ২০০ একর জায়গায় বৃক্ষরোপণ হবে। এখানে আট হাজার মানুষের প্রত্যক্ষভাবে এবং ১০ হাজার মানুষের পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে।