টাইমস বাংলা ডেস্ক – জামিন পেলেন না কেষ্ট। ফলে জেলেই তাঁকে করতে হবে কষ্ট। আজ, বুধবার ১৪ দিন জেল হেফাজত শেষ করে আদালতে তাঁকে তোলা হয়েছিল। কিন্তু সওয়াল–জবাব শেষে গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। আর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৫ অক্টোবর। সুতরাং এবার অনুব্রতের দুর্গাপুজো কাটবে জেলেই। আজ, বুধবার আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা অনুব্রতের জামিনের জন্য জোর সওয়াল করেন। বিচারকের সামনে তাঁরা যুক্তি দিয়ে সওয়াল করেন, গরু পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদেরই জামিন হয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক, বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার, এনামুলের স্ত্রী রশিদা বিবি, বিকাশ মিশ্র, শেখ আবদুল লতিফ, আনারুল শেখ, তানিয়া সান্যাল, বাদল সান্যালরা জামিন পেয়েছেন। তাহলে শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে কেন জামিন পাবেন না অনুব্রত মণ্ডল? যদিও এই প্রশ্নের পরও জামিন মেলেনি।
আদালত সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার করেছে এমন কোনও প্রমাণ সিবিআইয়ের কাছে নেই। তাছাড়া অনুব্রতের শারীরিক পরিস্থিতি ভাল নয়। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। আর সংশোধনাগারে শৌচাগারের অবস্থা ভাল নয়। অনুব্রতের খাওয়াও ঠিক মতো হচ্ছে না। তাই ৬৫ বছর বয়সের অনুব্রতের শরীর আরও খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলে সওয়াল করেন অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষের আইনজীবী।
এই সওয়াল শুনে পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার বলেন, ‘দুটো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে প্রচুর টাকা লেনদেন হয়েছে। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে প্রচুর টাকা লেনদেন হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে একাধিক কলেজ তৈরি হয়েছে। ভিন্রাজ্যেও হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী। তাই জামিন দেওয়া উচিত হবে না।’ দু’পক্ষের সওয়াল–জবাবের পর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।