টাইমস বাংলা ডেস্ক – নবান্ন অভিযানে পুলিশের উপর হামলা এবং পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটেছিল। এই তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে রাজ্যজুড়ে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। সেদিন বড়বাজার এলাকায় পেট্রল ঢেলে পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে ধরতে এবার মুর্শিদাবাদে পৌঁছে গেল কলকাতা পুলিশ। সেখানে গিয়ে জানা যায়, ফেরার ওই যুবক। তার নাম শুভজিৎ ঘোষ ওরফে রনি। সে বেলডাঙা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সান্ত্বনা ঘোষের ছেলে। সান্ত্বনাদেবী বেলডাঙা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বিজেপি কাউন্সিলের বাড়িতে যান কলকাতা পুলিশের পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল।
বিজেপির নবান্ন অভিযানে কলকাতার এমজি রোডে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ধাওয়া করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। বাঁশ–লাঠি নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। হাত ভেঙে গিয়েছে ওই পুলিশকর্তার। তারপর এমজি রোডেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের একটি গাড়িতেও। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন লালবাজারে কর্তারা। এই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কাউন্সিলরের ছেলে শুভজিৎ ওরফে রনিকে শনাক্ত করা হয়। অভিযুক্তকে পাওয়া না গেলেও তল্লাশি চালানো হয় বাড়িতে। রেকর্ড করা হয় বাড়ির সদস্যদের বক্তব্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশকে মারধরের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে গণেশ বাউলি, অসীম দেব এবং শশাঙ্ক সরকার নামে ওই তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই তিনজনকে নিয়ে এসিপি নিগ্রহের ঘটনায় মোট ন’জনকে গ্রেফতার করল লালবাজার। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে রাজকুমার মাইতি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। নবান্ন অভিযানের সময়ে পুলিশকর্তা দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের উপর যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম এই রাজকুমার।
তদন্তকারীদের দাবি, ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই ধৃতের সঙ্গে আরও এক যুবক গাড়িতে আগুন লাগাতে সাহায্য করছে। তার ছবি রাজ্যের সমস্ত থানায় পাঠায় লালবাজার। বেলডাঙা থানা লালবাজারকে জানায়, অভিযুক্ত যুবকের নাম শুভজিৎ ঘোষ ওরফে রনি। তারপরই বেলডাঙায় পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশ। আর সান্ত্বনাদেবী পুলিশকে জানান, ছবির সঙ্গে তাঁর ছেলের কোনও মিল নেই। তিনি দাবি করেন, ‘আমি কলকাতায় যাইনি। ছেলে গিয়েছিল কি না, তাও জানি না। ওকে পুলিশ ফাঁসাচ্ছে।’