টাইমস বাংলা ডেস্ক – নবান্ন অভিযানে তিন দিক দিয়ে মিছিল এলেও ঘেরা যায়নি। বরং পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা দেখেছে মহানগরী। সরকারি কার্যালয়ে হামলা করতে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেতারা বলে পুলিশের অভিযোগ। আর সেটাতেই বাধা দেওয়া হয়েছে। তার জন্য বহু পুলিশ কর্মীর উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। আর বিজেপি নেতাদের নবান্নের ধারে–কাছে ঘেঁষতে না দিয়ে আটক করা হয়েছিল। আর এই অভিযান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় নবান্ন অভিযানকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, বিজেপির বেলুন ফুটো হয়ে গিয়েছে। পাল্টা সুকান্ত বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জির নিজের বেলুনই ফুটো হয়ে গিয়েছে। তাই তিনি এত ভিড় চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। যাঁরা তাঁকে রিপোর্ট করছেন তাঁরা মিথ্যে বলছেন। উনিও মিথ্যে শুনছেন।’ বিজেপির বালুরঘাটের সাংসদ একদিকে সর্বভারতীয় সহ–সভাপতির নির্দেশ মানেননি প্রকাশ্য রাস্তায়। অন্যদিকে পুলিশ–প্রশাসনকে তিনি দোষারোপ করেছেন। এই বিষয়ে সুকান্ত সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘সারা রাজ্যে আন্দোলনরত বিজেপি কর্মীদের আটকে রাখা আদালত অবমাননার সামিল। তাই বুধবার আদালতে যাবে বিজেপি আদালত অবমাননার মামলা করার জন্য। রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। কালা দিবস পালন নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নবান্ন অভিযানের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। জেপি নড্ডা সরাসরি টেলিফোন করেছিলেন সুকান্ত মজুমদারকে। অমিত শাহও ফোন করেছিলেন তাঁকে। এই নিয়ে সুকান্তর মন্তব্য, ‘দলের নেতা অমিত শাহ আমাকে দু’বার ফোন করে পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন। দলের থেকে আমরা তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে অভিযোগ জানাতে পারি না। তবে নিশ্চয়ই দলের সাংসদ এবং দলের সর্বভারতীয় নেতাকে সমস্ত বিষয়ে জানানো হয়েছে এবং হবে।