টাইমস বাংলা ডেস্ক – বিজেপি নবান্ন অভিযানের যে বিশাল প্রচার ও পরিকল্পনা করেছিল তা রাস্তায় চুপসে গেল। এই কর্মসূচিকে কার্যত ‘ফ্লপ শো’ বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ দুপুর ২টো ৪০ মিনিটে নবান্ন অভিযান শেষ হল বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে শুরুতে কেউ ঠেকাতে পারবে না, শঠে শঠ্যাং হবে, গণতন্ত্রের ঢেউয়ে সব দেওয়াল ভেঙে পড়বে—সহ নানা গরম ভাষণ দিয়েছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে আসা মিছিল এক মিনিটও টিকতে পারল না। পুলিশের জলকামানের গতিতে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল জমায়েত। নবান্ন অভিযান ঘিরে শুরুতে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান চত্বর। বিজেপি মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, কাঁচের বোতল ছোঁড়ে। তুমুল চলে ইটবৃষ্টি। এমনকী, বাঁশ–লাঠি নিয়ে পুলিশকে তাড়া করা হয়। তখন পালটা লাঠি নিয়ে তাড়া করে পুলিশও। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান চত্বরে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে চলে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। এদিনের মিছিলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক বিজেপি কর্মী বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। এই মিছিলের তিনটি ভাগ ছিল। একটার নেতৃত্বে সুকান্ত মজুমদার, দ্বিতীয়টার নেতৃত্বে শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃতীয়টির নেতৃত্বে দিলীপ ঘোষ। সেখানে দেখা যায়, মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে এগোতে না পেরে রাস্তায় বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। পরে তাঁকে আটক করা হয়। হাওড়া ময়দানে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙলেন বিজেপি কর্মীরা। এই পরিস্থিতি সামলাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। আর তাতেই ভেস্তে যায় কর্মসূচি। রাস্তায় নেমে চিৎকার করতে থাকেন শুভেন্দু অধিকারী–লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু শুভেন্দুকে আটক করা নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। ব্যস, শান্ত হয়ে যায় মিছিল। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করার পর প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।