টাইমস বাংলা ডেস্ক – রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরপরই এক বিশেষ ‘মিশন’ বহুদিন ধরেই পরিকল্পিত ছিল যুক্তরাজ্যে। এই মিশনের কোড ছিল ‘লন্ডন ব্রিজের পতন’। তবে রানির মৃত্যু ইংল্যান্ডে নয় বরং স্কটল্যান্ডে হয়েছে। এই কারণেই এই কোড বদলে গিয়েছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার রানির মৃত্যুর পর শুরু হয় ‘অপারেশন ইউনিকর্ন’। প্রসঙ্গত, কাল্পনিক হলেও স্কটল্যান্ডের জাতীয় দীব ইউনিকর্ন।
গতকাল স্কটল্যান্ডের বালমোরালে প্রয়াত হন রানি এলিজাবেথ। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সকলেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রাজমাতা যদি লন্ডনে মারা যেতেন তাহলে তাঁর জন্য ‘লন্ডন ব্রিজ’ কোড মেনে মিশন চলত। তবে স্কটল্যান্ডে রানির মৃত্যু হওয়ায় এখন চলছে অপারেশন ইউনিকর্ন।
অপারেশন ইউনিকর্ন অনুযায়ী, গতকাল বিকেল থেকেই বিবিসি সাংবাদিকদের কালো রঙের পোশাক পরতে দেখা গিয়েছিল। বিবিসি-র পোর্টালের ব্যানারের রঙ লাল থেকে বদলে কালো করে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে রানির মৃত্যুর পর এবার ব্রিটেনের সিংহাসনে এবার তাঁর পুত্র চার্লস বসেছেন। এই আবহে সেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘লর্ড সেভ দ্য কুইন’ থেকে বদলে ‘লর্ড সেভ দ্য কিং’ হবে। তাছাড়া ব্রিটিশ পাউন্ডে রানির যে ছবি থাকে, তা ধীরে ধীরে বদলে রাজা চার্লসের সঙ্গে বদলে ফেলা হবে।
রানি স্কটল্যান্ডে মারা যাওয়ায় সংসদ, হলিরুডহাউসের প্রাসাদ এবং সেন্ট জাইলস ক্যাথেড্রালে প্রধান অনুষ্ঠানগুলি হবে। সংসদীয় কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করা হবে এবং রাজনীতিবিদরা শোক প্রস্তাব প্রস্তুত করবেন। রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হবেন তাঁরা। জনসাধারণ হলিরুডে সংসদে শোকজ্ঞাপন বইতে স্বাক্ষর করবেন। এদিকে রানির অন্তেষ্টিক্রিয়া হলিরুডহাউসে হবে। তারপরে তার কফিনটি রয়্যাল মাইলের ক্যাথেড্রালে নিয়ে যাওয়া হবে। নির্দিষ্ট রীতি অনুযায়ী, এরপর তাঁর মরদেহ পূর্ব উপকূলের রয়্যাল ট্রেনে করে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার হবে। এডিনব্রার ওয়েভারলি স্টেশন থেকে সেই যাত্রা শুরু হবে।