টাইমস বাংলা ডেস্ক -আঘাত পেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি পড়ে গিয়ে পায়ে ভালরকম চোট পেয়েছেন বলে খবর। তবে আজ, শুক্রবার কলকাতায় রেলের একটি বৈঠকে হাজির হতে চলেছেন তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যে রেলপথের শিলান্যাস হয়েছিল সেটা ১০ বছর ধরে পড়ে আছে। এবার সেই কাজ শুরুর দাবি নিয়ে ওই বৈঠকে যাবেন দিব্যেন্দু অধিকারী।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে ফেরার সময় পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পান দিব্যেন্দু অধিকারী। পড়ে যাওয়ার দরুণ পায়ের লিগামেন্টে চোট পান তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন তমলুকের সাংসদ। তিনি সংসদের রেল বিষয়ক কমিটির সদস্য। তাই আজ, শুক্রবার কলকাতায় রেলের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। নন্দীগ্রামে যে রেলপথের কাজ বন্ধ রয়েছে তা ফের চালু করার দাবি নিয়ে বৈঠকে যোগ দেবেন দিব্যেন্দু। দিব্যেন্দু অধিকারীরই দাদা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
বামফ্রন্ট সরকারের সময় ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে প্রস্তাবিত কেমিক্যাল হাব গড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ করার চেষ্টা হয়। তখন জমি আন্দোলনের জেরে কেমিক্যাল হাব গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। পরে নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্প করার কথা ঘোষণা করেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার। বাজকুল থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ১৮.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সেখানে জমি অধিগ্রহণ করে লাইন পাতা এবং স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরে রেলমন্ত্রক থেকে সরে যাওয়ায় নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের হয়নি। এবার বৈঠকে সেই কথা তুলতে চলেছেন সাংসদ দিব্যেন্দু।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই নন্দীগ্রামের রেল প্রকল্প নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। আগে শুভেন্দু তৃণমূল কংগ্রেসে থাকতে পাঁচ বছর আগে বলেছিলেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর সরকার রাজ্যকে বঞ্চনা করছে। নন্দীগ্রামে জাতি বিভাজন করার চেষ্টা করছে। খুনি লক্ষ্মণ শেঠকে বিজেপিতে নিয়ে নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’ এখন তিনি বিজেপিতে। এমনকী নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাই এই রেল প্রকল্প হলে সেটা বিজেপি প্রচারে নিয়ে আসবে। আর তৃণমূল কংগ্রেস বলবে এটা প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা। যদিও ২০২১ সালে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে এই রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করার অনুরোধ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।