টাইমস বাংলা ডেস্ক – অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর একাধিকবার তাঁর সমর্থনে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘কেন গ্রেপ্তার করা হল কেষ্টকে?’ বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠান থেকেও অনুব্রতর হয়ে কথা বলেন দলনেত্রী। যা এক ধাক্কায় কয়েকগুণ মনোবল বাড়িয়ে দিল গরুপাচার মামলায় ধৃত কেষ্টর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়ে তিনি বললেন, “দিদি পাশে আছে, এটাই যথেষ্ট।”
২০১০ সালের মঙ্গলকোটের অশান্তি মামলায় দিন কয়েক আগে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আজ অর্থাৎ শুক্রবারও ওই মামলার শুনানি রয়েছে। সেই কারণে সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগার থেকে অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সময়ই সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন অনুব্রত মণ্ডল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকা প্রসঙ্গে বলেন, “দিদি পাশে আছেন, এটাই যথেষ্ট। কেউ সারাজীবন জেলে থাকে না। একদিন না একদিন ঠিকই ছাড়া পাব।” দলনেত্রীর বার্তা অনুব্রতকে যে বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। এদিন কলকাতায় আসার পথে শক্তিগড়ে প্রাতঃরাশ সারেন অনুব্রত। গাড়িতে বসেই কচুরি, সবজি ও লাল চা খান। সেখানে বসে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।” এরপর রওনা হন কলকাতার উদ্দেশ্যে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারির কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “কেষ্ট বেচারা অসুস্থ। বগটুইয়ে একবার ধাক্কা খেয়েছিল। জেলে বন্দি করে কী ভাবছেন পার্লামেন্টের দু’টি সিট পাবেন? প্রতি ভোটে কেষ্টকে নজরবন্দি করে দেয়।” এরপরই বীরভূমের ব্লক সভাপতিদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “কেষ্ট না ফেরা পর্যন্ত ৩ গুণ লড়াই হবে। বীরভূমের লাল মাটি হারতে শেখেনি। কেষ্টকে বীরের সম্মানে ফিরিয়ে আনবেন।”
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগেই গরুপাচার মামলায় নাম জড়িয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের। পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বেশ কিছুদিন তাঁদের হেফাজতে ছিলেন কেষ্ট। পরে ২৪ আগষ্ট থেকে তিনি আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন। গত বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা ছিল। ঐদিন আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় তাঁর। মূলত বিপুল সম্পত্তির হদিশ এবং প্রভাবশালী তত্ত্বেই তার জামিন নাকচ হয়ে যায় ওই দিন।