টাইমস বাংলা ডেস্ক -মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের ৬ সদস্যের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে এবার মামলা করলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। মামলায় মমতা নিজে পার্টি না হলেও পার্টি করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে। এদিকে সিবিআই ডিরেক্টর, আয়কর দফতরের ডিরেক্টরকেও পার্টি করা হয়েছে এই মামলায়। মামলা সংক্রান্ত নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
২০১৩ সালে কুণাল ঘোষের এক বিবৃতির প্রেক্ষিতে তাঁকে এই মামলায় পার্টি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে যখন কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করেছিলেন। তবে তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কুণাল ঘোষ জেল খেটে ফের একবার তৃণমূলে সক্রিয় হয়েছেন। ধাপে ধাপে তাঁর প্রভাব বেড়েছে দলে। অভিষেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। এই আবহে কুণাল এই মামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আইনি পথে লড়াই হবে।’
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের যে ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে মামলা হয়েছে, তাঁরা হলেন – অমিত বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অজিত বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সমীর বন্দ্যোপাধ্য়ায়, স্বপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়, গণেশ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কাজরী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মামলায় সাক্ষী হিসেবে কুণাল ঘোষকে পার্টি করা হয়েছে।
বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খবর আমি জানি না৷ তবে তাঁর বাবার চারটি কোম্পানি আছে।’ তাৎপর্যপূর্ণভাবে আইনজীবীর অভিযোগ, ২০১৩ সালের পর থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বাবা-সহ বাকি জনপ্রতিনিধিদের উত্থান এবং সম্পত্তি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। সে সময় সারদা মামলা চলাকালীন কুণাল ঘোষ বলেছিলেন সব টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে লুকনো আছে। এখন তিনি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক৷ এদিকে কয়েকদিন আগেই মমতা দাবি করেছিলেন, তিনি তাঁর কোনও পরিবারের সদস্যের সঙ্গে থাকেন না। সবাই নিজেরটা বুঝে নিয়েছেন। এই আবহে মমতার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলায় মুখ্যমন্ত্রী কতটা বিড়ম্বনায় পড়েন, সেটাই দেখার।