টাইমস বাংলা ডেস্ক – পাকিস্তানের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফের ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরে এসেছিল। কেএল রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের হারিয়ে ভারত মারাত্মক চাপে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন দলে রয়েছেন বদলে যাওয়া হার্দিক পাণ্ডিয়া। যিনি আইপিএলের হাত ধরে ২২ গজে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই একেবারে ভোলবদলে ফেলেছেন। ধীরস্থির, পরিণত, দায়িত্ববান হয়ে উঠেছেন তিনি। যে কারণে ম্যাচের শেষে রোহিত তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন।
হার্দিক প্রসঙ্গ উঠতেই রোহিত বলেন, ‘প্রত্যাবর্তনের পর থেকে হার্দিককে আর চেনা যাচ্ছে না। অসাধারণ খেলছে। দলে না থাকার সময়েও ওকে কী করতে হবে এবং কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে, সেটা সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করেছে। নিজের ফিটনেসও সেই উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। এখন নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিমির বেশি জোরে বোলিং করছে। ব্যাটিং নিয়ে তো আলাদা করে কিছু বলার নেই। ও কেমন ব্যাট করে সেটা সবাই জানি।’
এখানেই থামেননি রোহিত। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘ফিরে আসার পর থেকে ওকে অনেক শান্ত মনে হচ্ছে। ব্যাট হোক বা বল, দুটো বিভাগেই ভাল খেলছে ও। আগের থেকেও জোরে বল করতে পারে। এখন বাউন্স দিতেও শিখে গিয়েছে। নিজে কোন পরিস্থিতিতে কী ভাবে খেলতে পারে সেটা ওর পক্ষে আগে বোঝা দরকার ছিল। এখন সেটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। প্রতি ওভারে ১০ রান দরকার হলে আমরা হয়তো ভয় পেতে পারি। কিন্তু হার্দিক পাবে না।’
রবিবার টসে জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত শর্মা। আর পাক ব্রিগেডের সব উইকেটই নেন জোরে বোলাররা। ম্যাচের পর রোহিত তাই বলেন, ‘গত ১২ মাসে ফাস্ট বোলাররা খুব ভালো খেলছে। প্রত্যেকেই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, চাপের মুখে ভালো খেলেছে। সেটাই এখন দেখতে পাচ্ছি আমরা।’
রোহিত জানিয়েছেন, রান তাড়া করার সময়ে তাঁরা যখন মাঝপথে, তখনই তাঁর বিশ্বাস ছিল যে, ম্যাচটা ভারতই জিতবে। তবে একঘেয়ে ম্যাচ জয়ের বদলে, এ রকম লড়াই করে জয় পাওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন রোহিত। তিনি বললেন,‘রান তাড়ার মাঝামাঝি সময়েও আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, আমরা যে কোনও পরিস্থিতিতে জিততে পারি। ম্যাচটিতে কী ভাবে ফিরে আসা যায়, সে বিষয়ে আমরা এই দলকে সেই ধরনের আত্মবিশ্বাস দিতে চাই। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, সবাই তাদের ভূমিকা জানে। একতরফা জয়ের চেয়ে এমন ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ।’