টাইমস বাংলা ডেস্ক – আকাশের গায়ে এটি কী! গোটা শহর জুড়ের মানুষের এই একটিই প্রশ্ন। দেখতে রামধনুর মতো হলেও, আসলে এটি রামধনু নয়। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে চিনের হাইকো শহরের কাছে। বিস্ময়কর এই দৃশ্য দেখতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন সাধারণ মানুষ। রাস্তায় মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েন। অনেকেই ভেবেথছিলেন কোনও মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকছেন। যাঁরা এই দৃশ্যের সাক্ষী তাঁধের কয়েক জন এটির ভেডিয়ো রেকর্ড করেন। সেই ভিডিয়োগুলির মধ্যে কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু রামধনু যদি না হয়, তাহলে এই জিনিসটি কী? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটিকে বলে পাইলিয়াস মেঘ।
কী এই পাইলিয়াস মেঘ?
আবহবিজ্ঞান বলছে, ২১ অগস্ট চিনের এই শহরের আকাশে যে মেঘ দেখা গিয়েছিল, তা রীতিমতো বিরল পাইলিয়াস মেঘ। একে ‘ক্ল্যাপ ক্লাউড’ বা ‘স্কার্ ফ ক্লাউড’ও বলা হয়। দ্য ওয়েদার নেটওয়র্ক সংস্থার রিপোর্ট বলছে, পাইলিয়াস মেঘ তৈরি হয় কিউমুলাস (কিউমুলোনিম্বাস মেঘ) থেকেই। খুব উঁচুতে থাকা কিউমুলাস ক্লাউডের উপরের স্তরে সঙ্গে যদি শীতল বাতাসের বারবার ধাক্কা লাগে, তাহলে ওই অংশের মেঘে থাকা জলীয় বাষ্প শীতল হয়ে ঘনীভূত হয়ে যায়। সেটিই এই পাইলিয়াস মেঘের জন্ম দেয়। এটি সচরাচর দেখা যায় না। খুব বিরল ধরনের মেঘ এটি।
Rainbow colored scarf cloud over Haikou city in China pic.twitter.com/ewKmQjsiIE
— Sunlit Rain (@Earthlings10m) August 26, 2022
সূর্যের আলো যখন কোণাকুনি এই মেঘের উপর পড়ে, তখন মেঘের ফোঁটা এবং বরফের স্ফটিকগুলির মধ্যে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে। এটির ফলেই রামধনু রঙের সৃষ্টি হয়।
তবে এই জাতীয় মেঘ খুব কম সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। কারণ উপরের মেঘ শীতল হয়ে এই রঙের জন্ম হয়। কিন্তু সেই শীতলা দ্রুত তলার স্তরগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ওই রং ভেঙে যায়। আর দেখা যায় না রামধনু রং।