টাইমস বাংলা ডেস্ক – পঞ্চায়েতের কাজ তাড়াতাড়ি করতে হবে এবং মানুষের সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। এখানে কোনও গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না। এই বার্তা দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর গত ১৮ অগস্ট নবান্নের রিভিউ মিটিং থেকে জেলা প্রশাসনকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পঞ্চায়েতে সমস্ত ভুয়ো খরচের হিসাব বের করতে হবে। এমনকী এফআইআর দায়ের করে সেই টাকা উদ্ধার করতে হবে। সুতরাং পঞ্চায়েতে চোর ধরো এফআইআর করো নীতি চালু হয়েছিল। এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রে খবর, এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ গেল জেলাগুলিতে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে যে সব কর্মী একই অফিসে তিন বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন, তাঁদের অবিলম্বে বদলি করতে হবে। আর এই নিয়ম অত্যন্ত কঠোরভাবে পালন করতে হবে। এমনকী দ্রুত বদলি করে সেই রিপোর্ট পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাছে পেশ করতে হবে। পঞ্চায়েতে স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্নীতি রুখতেই কড়া হলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, রাজ্যের নতুন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন বলেই পরিচিত। তাই জেলা স্তরে এই নির্দেশ পাঠানোর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নবান্নের এক অফিসার বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের ঘুঘুর বাসা ভাঙতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিছু অসাধু কর্মচারী টাকা নিয়ে অনিয়ম করে বেড়াচ্ছে। ফলে বদনাম হচ্ছে সরকারের।’
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে স্বচ্ছতা নিয়ে এসে মানুষের কাজ আরও বেশি করে হোক চান মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েতে কয়েক বছর ধরে খুব ভাল কাজ হয়েছে বলেই শংসাপত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আবার ১০০ দিনের কাজের টাকা নানা কারণ দেখিয়ে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই স্বচ্ছতার বার্তা দিয়ে দলের নেতাদের বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও হিংসার ঘটনা যেন না ঘটে। আর মুখ্যমন্ত্রীও পঞ্চায়েত স্তরে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা আনতে চাইছেন।