টাইমস বাংলা ডেস্ক – তিনি তারা মায়ের ভক্ত। তাই সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গেলেও পকেট থেকে তারা মায়ের পুজো করা ফুল কপালে ঠেকিয়েছিলেন। সিবিআই অফিসাররা সে দৃশ্য দেখেছিলেন। এমনকী মুখে বিড়বিড় করে বলতে শুনেছিলেন ‘জয় তারা’। হ্যাঁ, তিনি বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবার জেলে থেকেই মা তারার পুজো করলেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
জেল সূত্রে খবর, এখন তাঁকে জেল থেকে সরিয়ে জেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে শারীরিক কারণে। সেখানে তিনি কৌশিকী অমাবস্যার দিন মা তারার পুজো করেন। তবে এবার ভরি ভরি সোনার গয়না পাননি তিনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ভক্তি একটুও কমেনি। জাঁকজমক কমেছে। এখানেই মা কালীর ছবিতে জবাফুলের মালা পরিয়েছেন তিনি। নকুলদানা আর কলা দিয়ে পুজো দিয়েছেন। আর বলে উঠলেন, ‘জয় তারা’।
জানা গিয়েছে, সেখানে কোনও তারা মায়ের মূর্তি নেই। তবে মা কালীর একটা ছবি আছে। আজ, শুক্রবার সকালে স্নান সেরে মার্বেল পাথরের বেদিতে সেই ছবি রেখে তাতে জবাফুলের মালা পরিয়ে, নকুলদানা, কলার নৈবেদ্য সাজিয়ে এবং ধূপ দেখিয়ে ভক্তিভরে পুজো সেরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর পুজো শেষ করার আগে পর্যন্ত তিনি কিছু খাননি। পুজো শেষ করে বিস্কুট দিয়ে এক কাপ লাল চা খেয়েছেন। তার আগে পুজো সেরে বলে উঠেছেন ‘জয় তারা’।
উল্লেখ্য, বীরভূমে থাকাকালীন কালীপুজোর আয়োজন করতেন অনুব্রত মণ্ডল। আর তা ছিল চোখে লাগার মতো। নিবীরভূম জেলা কার্যালয়ের কালীপুজোয় প্রতিমাকে প্রায় ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় সাজিয়ে পুজো করতেন অনুব্রত। ১৯৮৮ সাল থেকে জেলা অফিসে পুজো করে আসছেন তিনি। তখন কংগ্রেস করতেন। তৃণমূল কংগ্রেসে আসার পর এই পুজো বিরাট আকার পায়। এমনকী নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর চোখে ধূলো দিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন তারাপীঠে। দলের শ্রীবৃদ্ধির সঙ্গে তাঁর পুজোর জাঁকজমক উত্তরোত্তর বেড়েছে। এখন তাঁর ঠিকানা আসানসোলের সংশোধনাগার। তাই নকুলদানা দিয়ে মাকে পুজো দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।