টাইমস বাংলা ডেস্ক – হাবিব মণ্ডল বলতেন, ‘খেলতে গিয়ে যদি প্রাণও চলে যায় যাক।’ আর ঈশ্বর যেন তাঁর সেই কথাটাই মিলিয়ে দিলেন। খেলতে গিয়ে প্রাণ হারালেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুরের বাসিন্দা হাবিব। দিল্লিতে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হল হাবিবের। খেলার মাঠেই খেলতে খেলতে মৃত্যু হল তাঁর।
আসলে ক্রিকেট খেলতে ১৫ অগস্ট দিল্লিতে গিয়েছিলেন হাবিব মণ্ডল। সেখানে তাঁর ক্রিকেট ম্যাচ খেলার কথা ছিল। জানা গিয়েছে দিল্লিতে তাঁর পাঁচটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। ১৯ অগস্ট প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন হাবিব। সেই ম্যাচে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ব্যাট করার সময় বিপক্ষের এক জোরে বোলারের বল হাবিব বুঝতে পারেননি। সেই বল হাবিবের বুকে আঘাত করে। বলটি হাবিবের বুকের একেবারে বাঁ দিকে লাগে।
আঘাত পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পিচের উপর লুটিয়ে পড়েন হাবিব মণ্ডল। মাঠেই জ্ঞান হারান। তাঁকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শুরু হলেও কিছুক্ষণ পর চিকিৎসকরা জানান হাবিবের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির ক্লাবের পক্ষ থেকে হাবিবের বাড়িতে ফোন করে প্রথমে আঘাত লাগার কথা জানানো হয়েছিল। পরে দেওয়া হয় মৃত্যু সংবাদ। হাবিবের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ভেঙে পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার রাউতারা গ্রামে স্কুলপাড়া এলাকা।
আসলে বিয়ের পরে হাবিব স্ত্রীকে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার রাউতারা গ্রামে স্কুলপাড়া এলাকাতেই থাকতেন। হাবিবের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। শোকাহত গ্রামের মানুষ। হাবিবের স্ত্রী নীলিমা মণ্ডল বলেছেন, ‘খেলতে খুব ভালবাসত হাবিব। বলতো, খেলতে গিয়ে যদি প্রাণও চলে যায় যাক। সেই খেলাই প্রাণ কেড়ে নিল ওর।’
হাবিবের ঘটনা মনে করিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজের ঘটনাকে। খেলার মাঠেই আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়েছিল অজি তারকার। মাথায় বল লেগে মৃত্যু হয়েছিল ফিল হিউজের। প্রায় একই ভাবে মৃত্যু হল বাংলার এই ক্রিকেটারের। হাবিব মণ্ডলের বুকের বাঁ দিকে বল লেগে মৃত্যু হল। দক্ষ ব্যাটার হিসাবেই পরিচিত ছিল হাবিব। কিন্তু জীবনের শেষ বলকে আটকাতে পারলেন না হাবিব মণ্ডল।