টাইমস বাংলা ডেস্ক -পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে মামলা রুজু হল। প্রকাশ্য জনসভায় এক বিচারক এবং দুই পুলিশ কর্তাকে হুমকি দিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের প্রধান। জানা গিয়েছে, গত শনিবার ইসলামাবদে এক সমাবেশে প্ররোচণামূলক বক্তব্য পেশ করেছিলেন ইমরান খান। পাশাপাশি এক বিচারক এবং দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। এই আবহে ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৭ নং ধারা অনুযায়ী একটি এফআইআর রুজু করা হয়েছে।
বিচার ব্যবস্থা এবং প্রশাসনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে এফআইআর। এই গুরুতর ধারায় এফআইআর রুজু হওয়ায় এবার ইমরানকে হাজতে যেতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লাহ খান জানিয়েছিলেন যে সরকার ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছে। সেই অনুযায়ী এফআইআর রুজু হয়েছে। আর সরকার ইমরানের বিরুদ্ধে কড় পদক্ষেপ করতে পারে মনে করছেন পাক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, জনসভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে ইমরান খান এক মহিলা বিচারক এবং দুই শীর্ষ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার হুমকি দিয়েছিলেন। ইমরানের ঘনিষ্ঠ শাহবাজ গিলের গ্রেফতারির পরিপ্রেক্ষেতেই ইমরানের এই তোপ ছিল। পাশাপাশি ইমরান খান পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এভং নিজের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছিলেন সেই মঞ্চ থেকে। এই আবহে পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ইমরান খান ধারাবাহিক ভাবে পাক সেনা এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন। এই আবহে পাক প্রশাসন ইমরান খানের ভাষণ সম্প্রচারের উফর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এর জেরে কোনও চ্যানেলই ইমরানের বক্তব্য টিভিতে দেখায়নি। পাক প্রশাসনের দাবি, সংবিধানের ১৯ নং ধারা লঙ্ঘন করছে ইমরানের ভাষণ। এদিকে এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধ করে পিটিআই অভিযোগ করেছে, শাহবাজ শরিফ একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন।