টাইমস বাংলা ডেস্ক – কয়েকদিন আগেই অষ্টমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন নীতীশ কুমার। সেদিন তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও। এবার নিজেদের সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করলেন নীতীশ, তেজস্বী। আজকে পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ৩১ জন। আজ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তেজ প্রতাপ যাদবও। তিনি লালুর বড় ছেলে তথা তেজস্বীর দাদা। এর আগে ২০১৫ সালের ‘চাচা-ভাতিজা’ সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
আজ সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদব। তার আগেই একে একে পৌঁছে যেন শপথ গ্রহণ নিতে চলা বিধায়করা। ৩৩ সদস্যের মন্ত্রিসভায় আরজেডির সর্বোচ্চ ১৬ জন সদস্য থাকতে চলেছে। কংগ্রেস এবং হম পার্টিরও প্রতিনিধিত্ব থাকবে তাতে। এদিন প্রথমেই বিজয় চৌধুরী, বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব, তেজ প্রতাপ যাদব, কংগ্রেসের আফাক আলম এবং অলোক মেহতা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। রাজ্যপাল ফাগু চৌহান পাঁচজনকে পদ ও গোপনীয়তার শপথ পড়ান।
শপথ গ্রহণের দ্বিতীয় দফায়, অশোক চৌধুরী, জেডিইউ-এর শ্রাবণ কুমার, আরজেডি-র রামানন্দ যাদব, সুরেন্দ্র কুমার যাদব এবং লেশি সিং শপথ বাক্য পাঠ করেন। শ্রাবণ কুমার নীতীশ কুমারের মতোই কুর্মি বর্ণের। এদিকে অশোক চৌধুরী একজন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ছিলেন। পরে তিনি নীতীশের দলে যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে সূত্রের খবর, আরজেডি-র তরফে শেষ মুহূর্তে তালিকা থেকে ছেঁটে দেওয়া হয় দলের সিনিয়র নেতা ভাই বীরেন্দ্রকে। তাঁর জায়গায় রামানন্দ যাদবকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ কারণে ভাই বীরেন্দ্র শিবিরে হতাশা নেমে আসে।
এদিকে তৃতীয় দফা শপথ গ্রহণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝিঁর ছেলে সন্তোষ কুমার সুমন, মদন কুমার সাইনি, ললিত যাদব, সর্বজিৎ কুমার এবং সঞ্জয় ঝা শপথ নেন। চতুর্থ দফার শপথ গ্রহণে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন প্রবীণ আরজেডি নেতা সমীর মহাশেঠ। তাঁর সাথে, জেডিইউ নেত্রী শীলা মন্ডলও শপথ নেন। তিনি এনডিএ সরকারেও একজন মন্ত্রী ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে শপথ নেন প্রাক্তন আইপিএস সুনীল কুমার, চন্দ্রশেখর এবং নির্দল বিধায়ক সুমিত কুমার সিং।