টাইমস বাংলা ডেস্ক – ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। তবে আচমকা সৌরভের শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনার অবসান ঘটেছিল সাময়িক ভাবে। তবে ২০২২ সালের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ফের একবার সৌরভকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এই সাক্ষাৎ ঘিরে এখন জল্পনা ছড়িয়েছে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়া ভারতীয় খেলোয়াড়দের সংবর্ধনার জন্য একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। সেই অনুষ্ঠানেই নাকি ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মোদী-শাহের সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে সৌরভের কথা হয় বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে আইসিসি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে সৌরভ। এই আবহে মোদী-শাহের সঙ্গে সৌরভের কথা বলার বিষয়টির সঙ্গে ক্রিকেট প্রশাসনের প্রসঙ্গ জড়িয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসন মহলে বেশ প্রভাব রয়েছে অনুরাগ ঠাকুরের। এদিকে ইতিমধ্যেই বিসিসিআই-তে সৌরভ ও অমিত পুত্র জয় শাহের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই আবহে ক্রিকেট প্রশাসন নিয়েই সৌরভের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কথা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে একটি রিপোর্টে। যদিও এই বিষয়ে বিসিসিআই সভাপতি বা বিজেপির তরফে কিছুই বলা হয়নি। তবে সৌরভ যদি বিসিসিআই সভাপতি পদে বহাল থাকেন সেক্ষেত্রে তিনি আইসিসি সভাপতি হতে পারবেন না। তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়ে তিনি বিসিসিআই সভাপতি পদে না থাকলেও আইসিসির প্রধান হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে যাবেন তিনি। এই আবহে জয় শাহের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সৌরভ আইসিসি-তে যা কি না, সেদিকে নজর সবার।