টাইমস বাংলা ডেস্ক – করোনার জন্য গত দু’বছর ডার্বির সাক্ষী থাকতে পারেনি ইস্ট-মোহন সমর্থকরা। এ বার সেই অপেক্ষা মিটতে চলেছে। পুলিশ অনুমতি দিলে যুবভারতীতে একশো শতাংশ দর্শক নিয়েই হবে মরশুমের প্রথম ডার্বি। অর্থাৎ আবার হাউসফুল যুবভারতীতে বড় ম্যাচ।
শুক্রবার ফোর্ট উইলিয়ামে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এমনটাই জানিয়ে দিলেন। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডুরান্ড কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। অনলাইনে টিকিট ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছেএ। তবে বড় ম্যাচের টিকিট কাটার আরও একটি সুযোগ রয়েছে সমর্থকদের সামনে। কলকাতার তিন প্রধান এবং যুবভারতীর বক্স অফিস থেকে টিকিট পাওয়া যাবে।
ম্যাচের আগের দিন কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন দর্শকরা। বড় ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ২২ আগস্ট থেকে। অন্যান্য ম্যাচে স্টেডিয়ামের দর্শক সংখ্যার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে।
১৬ আগস্ট মহমেডান-এফসি গোয়া ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ডুরান্ড কাপ। এ বারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিক অফ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। ১৮ অগস্ট ফাইনালের দিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে।
১৬ অগস্ট ১৯৮০ সালে ইডেনে বড় ম্যাচে শহিদদের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানোর ভাবনায় রাজ্য সরকার। ২০টি দল নিয়ে এবার হবে ডুরান্ড কাপ। তার মধ্যে আইএসএলের ১১টি দল, আই লিগের ৫টি দল এবং আর্মির ৪টি। ডুরান্ড কাপে মোট ৪৭টি ম্যাচ হবে। তার মধ্যে ২৭টি ম্যাচই কলকাতায়। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন এবং কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। তার মধ্যে থাকছে উদ্বোধনী ম্যাচ এবং ফাইনাল। দু’টো ম্যাচই হবে যুবভারতীতে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে প্রত্যেক ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর ভাবনায় ডুরান্ড কমিটি।