টাইমস বাংলা ডেস্ক – এখনও বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও তিনি এখন প্রেসিডেন্সি জেলে। খোয়া গিয়েছে তাঁর দলীয় পদ থেকে মন্ত্রীর পদও। এবার তাঁর বিধানসভা এলাকাতেই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যায় বেহালা ম্যান্টন এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে এমন সময়ে যাচ্ছেন যখন রাজ্য–রাজনীতিতে দুটি বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তবে তিনি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ১৪ অগস্ট বেহালার ম্যান্টনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়ক কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা দিবস পালনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার এই দিনেই নয়াদিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। তারপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রত্না চট্টোপাধ্যায় বেহালা পূর্বের বিধায়ক হন। এবার পার্থ জেলে যাওয়ায় নতুন ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে পার্থ গ্রেফতার হন গত ২৩ জুলাই। ২৮ জুলাই তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী পার্থকে সমস্ত দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার রদবদল হয়। তবে পার্থ এখনও বিধায়ক রয়েছেন বেহালা পশ্চিমের। আগামী বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ সালে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আর যাইহোক তিনি এখান থেকে টিকিট পাবেন না। সুতরাং নতুন কাউকে নিয়ে আসার কথা রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন কিনা সেটাই দেখার।
পার্থের ঘটনার পর এই বিধানসভা এলাকার কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খেয়েছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত হলে কর্মীরা চাঙ্গা হবেন। এলাকার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে কিছু শুনতে চান। কারণ বেহালা পশ্চিম বিধানসভা আসনে ২০০১ সাল থেকেই টানা ওই আসনে জিতেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা থেকে সাংসদ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। পরে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেও চারবার জিতেছেন দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকে।