টাইমস বাংলা ডেস্ক – মঙ্গলবারই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এনডিএ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন তিনি। এরপরই বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার স্পিকার বিজয় কুমার সিনহার কাছে অনাস্থা জানিয়ে চিঠি দিলেন মহাজোটের অন্তত ৫০জন বিধায়ক। জেডিইউ নেতা বিজয় কুমার চৌধুরী এমনটাই জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন ৫০জন বিধায়কের সই করা একটি ইমেল মঙ্গলবারই ইমেল করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার একটি হার্ড কপি বিধানসভার সচিবালয়ের কাছেও জমা দেওয়া হয়েছে। আসলে নতুন জোটকে আরও ফলপ্রসূ করতে এভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে নীতীশ শিবির।
এদিকে পাঁচ সদস্যের এথিকস কমিটির মিটিং ডাকার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করেছিলেন স্পিকার। এরপরই ময়দানে নেমে পড়েন জেডিইউ নেতৃত্ব।
জেডিইউ নেতৃত্বের দাবি, স্পিকারের মনোভাব নিয়ে আমরা প্রথম থেকেই সন্দিহান ছিলাম। তিনি প্রথা মেনে পদত্যাগও করতে চাইছেন না। তিনি দ্রুত এথিকস কমিটির মিটিং ডেকে ফেলেন। এনিয়েও রিপোর্টও তৈরি করার চেষ্টা করছিল। এরপর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কয়েকজন সদস্যকে বরখাস্ত করার ব্যাপারেও চেষ্টা করা হত। কংগ্রেস ও সিপিএমের সদস্যদের জন্যও এই পদক্ষেপ নেওয়া হত। ২০২১ সালের মার্চ মাসে একটি হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন এক প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা।
আরজেডি বিধায়ক রাম ভূষণ সিং জানিয়েছেন, এই রিপোর্টটি অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক। যার জেরে একাধিক বিধায়ককে বরখাস্তও করা হত। কমিটি চলতি বছরেই তো চূড়ান্ত রিপোর্ট এনিয়ে জমা দিয়েছিল। আবার কেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বললেন স্পিকার।
ডেপুটি সেক্রেটারি পদ মর্যাদার এক আধিকারিক জানিয়েছেন,বুধবার স্পিকারের বাসভবনের অফিসে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেছিল। অন্যদিকে যে স্পিকার বিধায়কদের বরখাস্ত করার চেষ্টা করছিলেন তাঁকেই এবার সরানোর উদ্য়োগ নিচ্ছে মহাজোট।