টাইমস বাংলা ডেস্ক – অবশেষে প্রেসিডেন্সি জেলে ঘুমানোর জন্য খাট পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে রাতে মাটিতে শুতে হয়েছিল। তার জন্য চারটি কম্বল পেয়েছিলেন পার্থ৷ কিন্তু তাতে রাতে ঘুম আসেনি প্রাক্তন মন্ত্রীর। তবে শনিবার রাতে তাঁকে একটি চৌকি মতো খাট দেওয়া হয়েছে। রাতে সেখানেই শুয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। আবার শুধুমাত্র হাসপাতালের বাইরেই গালিগালাজ–জুতো ছোড়াই নয়। এবার প্রেসিডেন্সি জেলেও সহবন্দিদের গালিগালাজ শুনতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
জেল সূত্রে খবর, ভারী চেহারার কারণেই মাটিতে বসা কষ্টকর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে। সেখানে তাঁর সেলে খাট তো ছিলই না, এমনকী কোনও চেয়ারও ছিল না। কিন্তু সেলের শৌচাগারে ছিল কমোড। তাই রাতের বাকি সময় সেই কমোডের উপরে বসেই কাটাতে হয় একদা মন্ত্রীকে। তারপর সকালেই খাটের জন্য জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কার্যত অনুনয় বিনয় করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর অনুরোধেই খাট দেওয়া হয়েছে। আরও একটি কম্বল দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তিনটি কম্বলকে খাটে পেতে আর একটি কম্বলকে ভাঁজ করে বালিশের মতো করে মাথায় দিয়ে শুয়েছিলেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক।
সূত্রের খবর, এদিন সকালে সেলের বাইরে তখন মা কালীর ছবিতে জবা ফুল দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাসপেন্ডেড এই নেতা। তাঁকে দেখা মাত্রই ‘চোর চোর’ রব তোলে অন্য বন্দিরা। শুধু তাই নয়, তাঁর উদ্দেশে নানা অশ্রাব্য গালিগালাজও করতে থাকে। ছুড়ে দেওয়া হয় নানা টিপ্পনি। কয়েকজন বন্দি মুখে আঙুল দিয়ে সিটিও দিতে থাকে। কেউ কেউ আবার বলতে থাকে—‘দেখ কেমন লাগে।’ যদিও পার্থবাবু তাতে কান না দিয়ে সোজা তাঁর সেলের দিকে পা বাড়ান।
আবার সন্ধ্যায় যখন বন্দিদের গুনতি করে সেলে প্রবেশ করানো হচ্ছিল, তখন কিছু বন্দি তাঁকে লক্ষ্য করে নানা কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। এমনকী অর্পিতার নাম ধরেও নানা অশ্রাব্য মন্তব্য করতে থাকে। যদিও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ওই সমস্ত কটু মন্তব্য কানে নিয়েই গজ গজ করতে করতে সেলে ঢুকে যান। ইডির পক্ষ থেকে পার্থকে কিছু সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংবাদপত্র হাতে নিয়ে প্রথম পাতায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে চোখ ফেরান তিনি বলে সূত্রের খবর।