টাইমস বাংলা ডেস্ক – বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাচ্ছেন। রাজধানীতে পৌঁছেই তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে এক সান্ধ্য চা-চক্রে তিনি মিলিত হবেন। সেই সভায় থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
অন্যদিকে, ৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ‘নীতি আয়োগের’ বৈঠকে যোগ দিতেই মূলত মমতার দিল্লি যাওয়া। এই সময় সংসদে অধিবেশনও চলছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল কাল, শুক্রবার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক হবে মমতার। সেখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া-সহ বাংলার সমস্ত দাবিদাওয়া ফের তুলে ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিনই নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে মমতার।
বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন একশো দিনের কাজের বেতন সাতমাস বন্ধ, বাংলা আবাস যোজনার টাকা বন্ধ, নানাভাবে বঞ্চনা শুরু হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে তিনি দিল্লি গিয়ে দরবার করবেন। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেছিলেন, প্রয়োজনে দিল্লিতে গিয়ে ঘেরাও করবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন আন্দোলনে নামার আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সমস্ত বিষয়টি তথ্য সহকারে আরও একবার তুলে ধরতে। সেই প্রেক্ষিতে মোদি-মমতা বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এছাড়াও এই সফরে দিল্লিতে আসছেন সমস্ত বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরাও। তাঁদের সঙ্গে মমতার বিরোধী জোট নিয়ে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী শনিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা। বৈঠকের মূল আলোচ্য হিসেবে সিবিআই, ইডির-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘অপব্যবহারের’ অভিযোগটি উঠে আসতে পারে। প্রাথমিকভাবে মমতার সঙ্গে চার বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের কথা শোনা গেলেও, তালিকাটা আরও দীর্ঘ হওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া যায় না। রাজধানীতে এমনও শোনা যাচ্ছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও মমতা দেখা হতে পারে।