টাইমস বাংলা ডেস্ক -বীরভূমের একাধিক জায়গায় সিবিআই ও ইডি হানা। শান্তিনিকেতনের রতনকুঠি গেস্ট হাউস থেকে দু’টি দলে ভাগ হয়ে নানুরের বাসাপাড়া ও সিউড়ির দিকে যান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান ও সিউড়িতে পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতেও হানা দেয় অফিসারেরা।
শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর রতনকুঠি গেস্ট হাউসে মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা ছিলেন। সকাল সকাল তাঁদের ১০টি গাড়ি বেরিয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে দু’টি দলে ভাগ হয়ে যান আধিকারিকরা। একটি দল নানুরের দিকে যায়। অন্য একটি দল সিউড়ির দিকে চলে যায়৷ নানুরের বাসাপাড়ায় বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের বাড়িতে যান সিবিআই অফিসারেরা৷ প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে এই কেরিম খানের৷
অন্যদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতে রবীন্দ্রপল্লির দালিলা ভবনে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। গোটা বাড়িটি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে মুড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও ব্যবসায়ীর সোনাতোড় পাড়ার এবং সুভাষপল্লির বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। তবে তিনটি বাড়িতেই ব্যবসায়ী খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইডি’র নজরে কেন ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডল, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ইডি আধিকারিকরা এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। জানা গিয়েছে, টুলু এবং কেরিম দু’জনেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ।
এদিকে, সল্টলেকে ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগওয়ালের বাড়িতে হানা দেয় সিআইডি। মঙ্গলবার হেয়ার স্ট্রিটে ব্যবাসীর অফিসে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে ৩ লক্ষেরও বেশি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকে পলাতক ব্যবসায়ী। তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশি।