টাইমস বাংলা ডেস্ক -এসএসসি দুর্নীতি ঘিরে যে বিতর্কের আগুন তৃণমূলকে দগ্ধ করছে, সেই আগুন নেভাতে এবার আসরে নামলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের কেউ তিনি নন। তিনি সাংসদ। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা। এই আবহে শাসকদলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ময়দানে নামছেন তিনি নিজে। এই পরিস্থিতিতে ক্যামাক স্ট্রিটে নিজের অফিসে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে অভিষেক দেখা করবেন আজ।গতকালই অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনি এসএসসি দুর্নীতির শিকার হওয়া আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াবেন। তাঁদের সাহায্য করার আশ্বাসও দেন অভিষেক। সাংবাদিকদের অভিষেক বলেছিলেন, ‘আমি সরকারের কেউ নই। কিন্তু আমি এসএসসি আন্দোলনকারীদের সব কথা শুনব এবং সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’ এরপরই আন্দোলনকারীদের নেতা শহিদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় অভিষেকের দফতর থেকে। এই আবহে শহিদুল্লাহর বক্তব্য, ‘আমরা আশা করি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মুখ থেকে এই সমস্যার কথা শুনলে কোনও না কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে।’এর আগে তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই ভীষণ চাপে ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই আবহে গতকাল প্রথমে মন্ত্রিত্ব খোয়ান পার্থ। এরপর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সুপারিশে দলের পাঁচটি পদ হারান এবং দল থেকে সাসপেন্ড হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি একই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, এই টাকার উৎস কী তা খুঁজে বার করতে হবে। বৈঠকে অভিষেক ছাড়াও হাজির ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সি ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অভিষেক বলেন, ‘আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তার পর দলে তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।’