টাইমস বাংলা ডেস্ক -দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ বাক্য পাঠের শুরুতেই ‘জয় জোহর’ এর বার্তা শোনা যায় দ্রৌপদী মুর্মুর মুখে। দিল্লি থেকে ক্রোশ দূরে ওড়িশা তখন উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে। খোদ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক উপস্থিত ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মুর শপথপাঠ অনুষ্ঠানে। ওড়িশার ভূমিকন্যা আজ দেশের রাষ্ট্রপতি। দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় আদিবাসী নৃত্যের তালে মেতে ছিল ওড়িশার বিভিন্ন অংশ। যে স্কুলে দ্রৌপদী পড়াশোনা করেছিলেন সেখানে আজ আনন্দাশ্রুর পালা! উৎসবের মুহূর্তে এই দিনটিতে ৩০০ টি গাছের চারা লাগিয়ে পালন করা হয় দ্রৌপদী মুর্মুর এই অসামান্য সাফল্যের সফরকে। শপথবাক্য পাঠের সময় দ্রৌপদী বলছেন, ‘ আমি আদিবাসী ঐতিহ্যে বড় হয়েছি, যে ঐতিহ্য সংস্কৃতি হাজার বছর ধরে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে তৈরি হয়েছে।’ ততক্ষণে তাঁর স্কুলে পোঁতা হচ্ছে ৩০০ গাছের চারা। এই স্কুলে ৭ বছর পড়াশোনা করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার আপারবেড়া প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। যিনি আজ সাঁওতালি সংস্কৃতির ঝাল শাড়ি পরে উচ্চারণ করেন শপথ বাক্য। এদিকে, স্কুলের হেডস্যারর মনে পড়ছে ছাত্রী দ্রৌপদীকে। বলছেন, আজ তাঁগেল কাছে এক ঐতিহাসিক দিন। আজ মিষ্টি বিতরণ করে শুরু হয় স্কুলের পঠনপাঠন। এলাকা জুড়ে তখন সকলের নজর টিভির স্ক্রিনের দিকে। উল্লেখ্য, ওড়িশার আরও একটি গ্রামে রাষ্ট্রপতি মুর্মু একটি স্কুল চালান। সেই এনএলএস স্কুলেও আজ সমারোহ! চলেছে সাঁওতালি নৃত্য, গান। এই স্কুলে দ্রৌপদী মুর্মুর শ্বশুরবাড়ি এলাকায়। সেখানেও চলেছে মিষ্টি বিতরণ। দ্রৌপদী যেখানে জন্মেছেন সেই রাইনরাংপুরে আজ ঘরের মেয়ের পোস্টরে ছয়লাপ এলাকা।