টাইমস বাংলা ডেস্ক -চলতি বছরে বর্ষার মরশুমে বৃষ্টির অভাবে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে আমন ধানের রোপন এবং বীজতলা তৈরিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে পাট চাষে। তাই জলের সমস্যা মেটাতে আজ থেকে জল ছাড়বে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)। এর ফলে ৫ জেলায় বিশেষ করে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি এবং হাওড়া জেলায় আমন ধান চাষে সুবিধা হবে বলে জানা গিয়েছে।সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সঙ্গে দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেশন কমিটির বৈঠক হয়। এরপরে কমিটি ডিভিসিকে প্রয়োজনীয় জল ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী সাত দিন ধরে এই সমস্ত জেলাগুলিতে জল ছাড়া হবে। মাইথন এবং পাঞ্চেত এই দুটি জলাধার থেকে জল ছাড়া হবে। তবে মাইথন জলাধারে জলের স্তর কম থাকায় পাঞ্চেত জলাধার থেকে বেশি পরিমাণে জল ছাড়া হবে। সব মিলিয়ে আগামী এক সপ্তাহ ধরে ৭০ হাজার একর ফুট জল ছাড়া হবে বলে ডিভিসির প্রজেক্ট হেড আঞ্জনি কুমার দুবে জানিয়েছেন। তবে কোন জলাধার থেকে কত পরিমাণ জল ছাড়া হবে তা জলাধারের অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।পশ্চিম বর্ধমানের মুখ্য কৃষি আধিকারিক সাগর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জুলাই মাসে পশ্চিম বর্ধমানে সাধারণত ৩৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর মাত্র ১০০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে যা স্বাভাবিকের অর্ধেকেরও কম। এর ফলে বীজতলা তৈরিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদিও বৃষ্টি না হওয়ায় বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রের সাহায্যেই জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে তাতে খরচ বেশি হওয়ায় তা অনেক চাষীর সাধ্যের বাইরে।ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার প্রতি বছর কম বেশি ৬৯৩ মিলিয়ন ঘনমিটার জল ডিভিসির কাছ থেকে সেচের জন্য নিয়ে থাকে। যার ফলে এই ৫ জেলার ৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে ফসল চাষ করা হয়। শুধুমাত্র পশ্চিম বর্ধমানে প্রায় ৪৪ হেক্টর হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। তবে এ বছর বৃষ্টির অভাবে এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। ফলে জমিতে জলের পরিমাণ বাড়লে ধান চাষে সুবিধা হবে বলে মনে করছেন কৃষি আধিকারিকরা।