টাইমস বাংলা ডেস্ক -করোনা ভাইরাসের প্রকোপ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো ঘটনার প্রভাব সারা বিশ্বে পড়েছে। আর্থিক মন্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। খাদ্যশস্যের পাশাপাশি জ্বালানির ক্ষেত্রেও সংকট দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। এমন অবস্থায় সমস্ত ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আর এর অংশ হিসেবে সেদেশের সরকারি আধিকারিকদের স্যুট-কোট না পরার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যাতে বিদ্যুৎ বাঁচানো যায়।স্যুট বা কোট পরে অফিসে বসলে গরম বেশি লাগবে। ফলে এসি বা পাখা বেশি চলবে। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই আধিকারিকদের স্যুট-কোট না পরার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আপাতত কেবল শীতে বা বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে স্যুট-কোট পরতে পারবেন সরকারি আধিকারিকরা। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।রাজধানীর শের-ই বাংলানগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে একনেকের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর অদূরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চেয়ারপারসন হিসেবে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।এদিন একনেকে ৮টি প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বৈঠকে সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ধরনের অপচয় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সরকার এবং সরকারের বাইরে সতর্ক থাকতে হবে বলে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সরকারি আধিকারিকদের অফিস চলাকালীন এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নিচে না নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় অবশ্যই এসি বন্ধ করে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।এর আগে সরকারি নির্দেশনায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রতিটি মসজিদে নমাজ ছাড়া সময়ে এসি বন্ধ এবং দোকানপাট, বাজার রাত আটটার পর বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তা ইতিমধ্যে কার্যকরও করা হয়েছে। কাজের সময় কমিয়ে সকাল ন’টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের পাম্পগুলো সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখতে বলা হয়। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।