টাইমস বাংলা ডেস্ক -আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের হাইভোল্টেজ শহিদ সমাবেশ শুরু হয়ে গিয়েছে। বর্ষীয়ান নেতারা বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সেখানে বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সামনে দাঁড়িয়েই তৃণমূল কংগ্রেস আগামীদিনে একাধিক রাজ্যে ক্ষমতায় আসবেন বলে জানিয়ে দিলেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। এছাড়াও বৃহস্পতিবার শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট খেললেন বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিন সিপিআইএম এবং বিজেপিকে একসারিতে দাঁড় করিয়ে আক্রমণ করেছেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘সিপিআইএমকে ভোগে পাঠিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিও মায়ের ভোগে যাবে। মমতা–অভিষেকের নেতৃত্বে দেশের অন্তত ১০ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পৌঁছে যাবে। রাতারাতি হবে না। কিন্তু লেগে থাকলে হবে। কারণ দেশের মানুষ ভাল নেই সেটা দেখা যাচ্ছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেকের সেনাপতিত্বে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে।’মমতাকে প্রাণে মারার চক্রান্তর বিষয়ে সৌগত রায় আজ বলেন, ‘এই নিয়ে ২৯ বছর হল। মমতার সঙ্গে আমরাও বৃদ্ধ হয়েছি। একার ডাকে সমাবেশ ডেকেছিল মমতা। তাই তার প্রতি আক্রমণ করেছিল বামেরা। জানত মমতাই ওদের সরাতে পারবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র সিপিআইএমের প্রতিপক্ষ। তাই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। সারা দেশের মানুষ মমতার প্রতি আস্থা রেখেছে।’ এছাড়াও শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘আসল লড়াই এখনও বাকি আছে। সাম্প্রদায়িক একটা সরকার আছে কেন্দ্রে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে মানুষ তাদের সরাবে। অভিষেক ভিন রাজ্যে চেষ্টা করছেন সংগঠন বাড়াতে। একদিনে হবে না, কিন্তু ঠিক সেই লক্ষ্যে আমরা পৌঁছব। ১০ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে।’
পরবর্তীতেই বৃহস্পতিবার শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট খেললেন বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে শূন্য করে দেওয়ার অঙ্গীকারও করলেন ধর্মতলার মঞ্চ থেকে। সিপিআইএম শূন্য হয়েছে। বিজেপিও তা হবে বলে সুর চড়িয়ে জানিয়ে দিলেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত।এদিন সভামঞ্চে উঠতেই করতালিতে ফেটে পড়ে সভাস্থল। আর সেখান থেকে উত্তর কলকাতার এই সাংসদ বলেন, ‘ধর্মের নামে রাজনীতি করছে৷ নজর ঘোরাতে আজই রাষ্ট্রপতি ভোটের ফল৷ লাগাতার চলছে এজেন্সির অপব্যবহার৷ রাজনীততে কোনও কথাই শেষ কথা নয়৷ আমি নিজের জীবনে কখনও ভাবিনি সিপিআইএমকে শেষ হয়ে যেতে দেখব। কিন্তু দেখলাম তো। বিজেপিও শেষ হয়ে যাবে।’ এদিন শহিদদের উদ্দেশ্যে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সেদিন যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁরা আজ স্বর্গ থেকে দেখছেন। সিপিআইএমকে মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলা থেকে শূন্য করে দিয়েছে। আজ রাষ্ট্রপতি ভোট গণনা করার কারণ ২১ জুলাই থেকে নজর ঘোরাতে। সভা থেকে নজর ঘোরাতেই সোনিয়া গান্ধীকে তলব করা হয়েছে৷ দলনেত্রীর এবারের লক্ষ্য বিজেপিকে শূন্য করা। ওটা একটা উন্মাদের দল। আট বছরের দেশ চালনায় ৮০টা ভুল করেছে ওরা। নোটবন্দি ভুল, অপরিকল্পিত লকডাউন, ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি, চিন–ভারত ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামো ভাঙচুর, ধর্মের নামে রাজনীতি—সবই করছে৷ তাই বিজেপিকে দেশ থেকে সরাতে হবে।’